প্রকাশ: বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩, ৮:২৬ PM
শুরুটা কলেজ জীবন থেকে। টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি। এরপর গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। রাজনীতির শুরুতে পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লা মাস্টারের ছায়া, শিখেছেন আজমত উল্লা খানের থেকে। রাজনৈতিক যাত্রা সম্বন্ধে জানতে চাইলে এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, মঞ্চে পড়া কবিতা নিজের অজান্তেই দ্রোহের মন্ত্রে স্লোগান হয়ে গেছে। ঠিক তেমনি আমিও এম এম নাসির উদ্দিন থেকে নাসির ভাই হয়ে উঠেছি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে লাটিম মার্কা নিয়ে লড়ছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন কথা হয় এম এম নাসিরের সাথে; সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠা নাসির কর্তৃত্ববাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা পাল্টে সন্মানজনক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে চান, এজন্য 'কাউন্সিলর অন ক্লিক' নামে একটি পরিসেবা এ্যাপস অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন। কাউন্সিলর অফিস প্রদত্ত সেবা সমূহ একটা প্লাটফর্মে নিয়ে আসলে নাগরিক জীবন সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট ওয়ার্ড হবে গাজীপুরের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড। আধুনিক বিশ্বের একটি শহরে আপনি যেমন নাগরিক পরিসেবা দেখেন, আমি আমার ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডকে তেমন দেখতে চাই। এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা যেমন অপরিকল্পিত রাস্তা, মাদক, যানজট, জলাবদ্ধতা, বজ্র ব্যবস্থাপনা ও পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত আমি সেই ক্লান্তি দূর করতে চাই।
নাসির বলেন, তুরাগকে শৈশবের চেনা রূপে ফিরিয়ে দিতে চাই। তুরাগপাড় হবে পরিবেশ বান্ধব, আধুনিক ও ঢাকা কেন্দ্রিক সংস্কৃতির প্রাণ 'আমাদের বাচ্চারা গুগোলের রেফাসেন্স দেখে, পরন্ত বিকেলের ছবি আঁকবে না। তুরাগপাড়ে একটা নান্দনিক বিকেল কাটিয়েই পরন্ত বিকেলের ছবি আঁকবে। আমাদের সকাল হবে প্রাণবন্ত। পাখির ডাকের ভোর নাগরিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার এক নব যুদ্ধে আমি।' একটা প্রশান্তির তুরাগ আবার আমাদের নিজেদের ফেরত দিতে চাই।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড ভৌগলিক কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার সংযোগস্থল আবদুল্লাহপুর ও টঙ্গীবাজার আংশিক মিলিয়ে ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড। এদিকে ৫৬ ও ৫৭ নাম্বার ওয়ার্ডের সীমান্তে বাস করেন আজমত উল্লা খান। এ ওয়ার্ড থেকেই নির্বাচনী অফিসের কার্যক্রম শুরু করে করেন তিনি। নাগরিক হিসেবে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে নগর ব্যবস্থাপনায় যে সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করবেন প্রশ্নে নাসির বলেন, 'মাদকমুক্ত ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড আমার প্রথম অঙ্গীকার, ডিজিটাল নাগরিক সেবা, সম্মানজনক পরিসেবা, দ্রুততম সেবার নিশ্চয়তা, পরিবেশ বান্ধব ওয়ার্ড, একটি পাবলিক লাইব্রেরী।' পরিশেষে তিনি বলেন, 'যদি জনগণ ভোট দেয় তুরাগ পাড়ে একদিন এসে জীবনানন্দ পাঠ করে যাবেন, ততদিনে তুরাগ আবার প্রাণে ফিরবে।'