প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৩৫ পিএম (ভিজিট : ৪৩)
শেরপুরের নকলা উপজেলার ১১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মাঝে আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে মিড ডে মিল বিতরণ করা হবে। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ইউএইচটি দুধ ও ফরটিফাইড বিস্কুটের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার গনপদ্দী ইউনিয়নের খারজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিলের জন্য ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান আকিজ গ্রুপের পক্ষ থেকে দুধ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে পাঠদানের দিন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার হিসেবে একটি করে বনরুটি, সেদ্ধ ডিম, ইউএইচটি দুধ, ফরটিফাইড বিস্কুট ও দেশীয় মৌসুমি ফল বা কলা সরবরাহ করা হবে।
খারজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ বেগম জানান, বিদ্যালয়ের উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে সপ্তাহে ৫দিন বিনামূল্যে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ হবে এ সংবাদ শুনার পরেই শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছে। যেসকল পরিবারের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেনা; তাদের জন্য এই ‘মিড ডে মিল’ অধিকতর উপকারে আসবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার বাড়বে এবং এটি শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মিড ডে মিল চালু হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা প্রতি কর্মদিবসে নির্ধারিত মানসম্মত খাবার পেলে বিদ্যালয়মুখী হবে এবং পড়া-লেখায় অধিক মনোযোগী হবে। তবে এসব খাবার শুধুমাত্র উপস্থিত শিক্ষার্থীরাই পাবে। এতে দিনের মধ্যভাগে শিক্ষার্থীদের খাবারের যে চাহিদা সৃষ্টি হয় তা পূরণ হবে। মিড ডে মিল চালু হলে শিশু শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদাও মিটবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, টেন্ডার জটিলতায় কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে দেশের ১৬৫ উপজেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩১ লাখ শিশু শিক্ষার্থীর জন্য ‘মিড ডে মিল’ চালু হচ্ছে। এরমধ্যে শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলাকে এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।