নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে এবং পরে তার বিরুদ্ধে তার নির্বাচনী এলাকায় উঠেছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। অভিযোগ আছে তিনি রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে এমনকি সাংবাদিকদের সাথে বেফাঁস মন্তব্য করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার পর এক সংবাদ প্রকাশের পর সে বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পর্কে টেলিফোনে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদেশে বিএনপির লোকজন চাঁদাবাজি করে, ঢাকাতে মির্জা আব্বাসের পোলাপান হগল করে। লেখতে পারবেন তার নাম? আগে তদন্ত করেন তারপর আমার বিরুদ্ধে লেখেন, না জেনে লিখবেন না। পাঁচ আগস্টের পরে কে কি করছে তার দায় কি আমার ?
তার বেফাঁস মন্তব্য মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের ভাইরাল সেই অডিও ক্লিপ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ‘সাংবাদিক ইমরান দৈনিক মুক্ত খবর, ঢাকা থেকে, আপনার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ এসেছে। মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ফুটপাতে চাঁদাবাজি, তারপর সরকারী জায়গা, সিএনজি স্ট্যান্ড, বাসস্ট্যান্ড, বাস কাউন্টার ৫ আগস্টের পর আপনার ছেলে টোল প্লাজা দখল করে ৫ কোটি টাকা।’
এসময় আজহারুল ইসলাম মান্নান তখন পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আপনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক এই পত্রিকা কই, কোথায় চলে? আগে গিয়া নিজেরা তদন্ত কইরা, হিয়ার পরে পত্রিকায় লেখেন। সাংবাদিক ইমরান বলেন, তদন্ত করে খোঁজ খবর নিয়েই আপনার সাথে কথা বলছি। জবাবে মান্নান বলেন, আমি, আমার পোলায় গিয়া চৌরাস্তা এবং ফুটপাতের সব খাই? জবাবে সাংবাদিক বলেন, এগুলো আপনার লোকজন করেন। জবাবে মান্নান বলেন, সারা বাংলাদেশের বিএনপির লোকজন করে, ঢাকাতে মির্জা আব্বাসের পোলাপাইন হগল করে। আন্তাজে না জিগায়া, না জাইনা কেন লেখতাছেন। সাংবাদিক ইমরান বলেন, যারা করে আপনার লোক, আপনার নাম পড়বে।
মান্নান বলেন, দুই বছর আগে টোল প্লাজার কি হইছে, না হইছে, কারা করছে, আমরা বাপ-পুতে ঢাকা ছিলাম ৫ আগস্টের দিন। আপনারা তদন্ত করে লেখেন আমার নাম আইছে তদন্তে তারা কি কইছে? মান্নান সাবের পোলায়, মান্নান সাবে নিছে গা? শুনেন, না জাইনা ভাই আপনার সাথে তর্ক করতে রাজি না। আপনারা পত্রিকায় লেখবেন, লেহেন গা, যান।