প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৩৪ পিএম (ভিজিট : ৩০)
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্বকে অনুরোধ জানিয়ে ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলের বেলেম শহরে স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘের জলবায়ু–সংক্রান্ত ৩০তম সম্মেলন বা কপ–৩০ শুরু হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ সম্মেলনে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
উদ্বোধনী ভাষণে আয়োজক দেশ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, এখন সময় এসেছে অস্বীকারকারীদের নতুন করে পরাজিত করার।
প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা স্পষ্ট ভাষায় ‘ভয় ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর আক্রমণকারীদের’ তীব্র নিন্দা জানান।
তবে এবারের সম্মেলনে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী ও দ্বিতীয় দূষণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের না থাকাটা বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে।
তবে না থেকেও যেন যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি রয়ে গেছে। সম্মেলন মঞ্চে আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসমসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকতে পারেন। তাঁরা নিজস্ব জলবায়ু ভাবনা ও বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সঙ্গে নিজেদের সংহতি তুলে ধরবেন।
জাতিসংঘের জলবায়ুপ্রধান সাইমন স্টেইল বলেন, ‘কোনো ভুল করবেন না। মানবতা এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমাদের কিছু শক্ত প্রতিপক্ষ রয়েছে। তবে আমাদের পক্ষেও বেশ কিছু হেভিওয়েট রয়েছেন।’
এমন এক সময় এ সম্মেলনের পর্দা উঠল, যখন ক্যারিবীয় অঞ্চল ও এশিয়ায় প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় এবং যুদ্ধ, বাণিজ্য বিরোধ থেকে শুরু করে ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা জলবায়ু পরিবর্তনের ভাবনা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিচ্ছে।
সতর্কবার্তায় জাতিসংঘের শীর্ষ এ জলবায়ুবিজ্ঞানী বলেন, প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত নিরাপদ উষ্ণতা সীমা—১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস—অস্থায়ীভাবে অতিক্রম করা এখন অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ৪২ হাজারের বেশি প্রতিনিধি এবারের জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। তবে এ সংখ্যা এর আগের সম্মেলনগুলোর তুলনায় কম। এর বড় একটি কারণ, সম্মেলনস্থলের আশপাশে আকাশছোঁয়া থাকার খরচ। তাই অনেকেই সম্মেলন এড়িয়ে গেছেন।
আমাজন অঞ্চলে সম্মেলন আয়োজনের পক্ষে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাজনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। কয়লা, তেল আর গ্যাস পোড়ানোর মধ্য দিয়ে ক্রমেই এ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য বদলে ফেলা হচ্ছে।