প্রকাশ: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:০৮ পিএম (ভিজিট : ৬১৭)
দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাকিতে লেনদেনের মাধ্যমে কয়েক শ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে মহাদেব চন্দ্র সাধু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ অন্তত ৮০টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে এক মামলার শুনানিতে বুধবার (৫ নভেম্বর) তাকে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করেন।
অভিযুক্ত মহাদেব চন্দ্র সাধুর বাড়ি মাগুরা জেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে মালপত্র ক্রয়-বিক্রয়ের নামে প্রতারণা করে আসছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলার বাদী মানিকগঞ্জ জেলার ব্যবসায়ী লিটন কুমার আইচ জানান, প্রায় এক বছর আগে তার সঙ্গে মহাদেব চন্দ্র সাধুর পরিচয় হয়। প্রথমে নগদ টাকায় লেনদেন করে বিশ্বাস অর্জনের পর আসামি কৌশলে ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে তার কাছ থেকে ৭৬ ট্রাক ভুট্টা ক্রয় করেন, যার মূল্য ছয় কোটি ৬৫ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৯ টাকা। এর মধ্যে চার কোটি ২৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাকিতে দুই কোটি ৪১ লাখ দুই হাজার ৫৭৯ টাকা রেখে দেন।
একইভাবে ঢাকার ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন রতনের কাছ থেকেও ১৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ টাকার মালপত্র বাকিতে নিয়ে পরিশোধ না করে দেননি বলে অভিযোগ। এভাবে দুই ব্যবসায়ীর কাছেই মোট ১৯ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার ৯৭৯ টাকা বকেয়া রাখেন তিনি।
বাদীর অভিযোগ, মহাদেব চন্দ্র সাধু ও তার সহযোগীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কৌশলে মালপত্র বাকিতে নিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করে আসছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, ‘আসামি মহাদেব চন্দ্র সাধুর বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৮০টি মামলা রয়েছে। তিনি অত্যন্ত চতুর ও প্রভাবশালী প্রতারক। প্রতারণা ও ধর্ষণ মামলায় তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে আছেন। আমরা বিশ্বাস করি, আদালত ন্যায়বিচার করবেন।’
বাদীপক্ষে আরো ছিলেন অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দিন খানসহ কয়েকজন আইনজীবী। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তুহিন আহমেদ।