প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:০৪ পিএম (ভিজিট : ১৬)

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পানিসম্পদ ও স্যানিটেশন খাতে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারা ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান সাফল্য অর্জন করেছে।
ইতোমধ্যে সদর উপজেলার চর ডিজাইন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ওয়াস ব্লগ কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ২৩৯টি করে স্যানিটারি লেট্রিন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সর্বমোট ১,৮৩২টি লেট্রিন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৯৬টি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ চলছে।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ বাড়ি পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং ৪০ বাড়ি কমিউনিটি ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য ও নিরাপদ পানির বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ভোগডাঙ্গা এলাকার সুবিধাভোগী মমিনুল মণ্ডল বলেন, আমরা আগে খোলা জায়গায় বা ঝুঁকিপূর্ণ লেট্রিন ব্যবহার করতাম। এখন আধুনিক স্যানিটারি লেট্রিন পেয়ে পরিবার-পরিজন স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মুক্ত হয়েছে।
তাইজুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগে আমাদের এলাকায় পানির সংকট অনেকটাই দূর হয়েছে। নিরাপদ পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত হওয়ায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় স্বস্তি এসেছে।
জাবেদ আলী জানান, আগে সচেতনতার অভাবে আমরা অনেক কিছু বুঝতাম না। এখন জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করায় গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে শিখছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী শিখর চন্দ্র রায় বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। প্রতিটি প্রকল্পের লক্ষ্য হলো গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
স্থানীয়রা মনে করছেন, এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় পানিসম্পদ ও স্যানিটেশন খাতে এক স্থায়ী পরিবর্তন আসবে।