প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:০১ পিএম (ভিজিট : ১১)

বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) বার্ষিক সাধারণ সভা আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে বসতে যাচ্ছে। ওই দিন বিসিসিআই-এর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচন হবে। ২০১৯ সালে নির্বাচিত হয়ে ২০২২ পর্যন্ত বিসিসিআই-এর চেয়ারে বসা কলকাতার মহারাজ খ্যাত সৌরভ গাঙ্গুলি এবারো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
তার নিকটতম প্রার্থী হিসেবে আগমণ ঘটতে যাচ্ছে সৌরভের অধিনেই জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া ভারতের সফলতম স্পিনার হরভজন সিংয়ের। এছাড়া সাবেক ক্রিকেটার রঘুরাম ভাট (কর্ণাটকের) এবং কিরণ মোরে (গুজরাট) প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বলে জানা গেছে।
নিরপেক্ষ ভোটে বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্টসহ সেক্রেটারি, কোষাধাক্যের মতো পদের নির্বাচন হয়ে থাকে। তবে প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি পদের জন্য বড় ভূমিকা থাকে ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির। সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজের মতে, সুনির্দিষ্ট করে বললে বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র অফিস থেকেই সিদ্ধান্ত হয়- পরবর্তী বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট কে হবেন।
ক্রিকবাজ জানিয়েছে, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিষয়ক আলোচনার জন্য এরই মধ্যে দিল্লিতে বিজেপির নেতা অমিত শাহ’র অফিসে ডাক পড়েছে সৌরভ, কিরণ মোরে, হরভজনদের। আগামী শনিবার ওই বৈঠক হবে। ভারতের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট সৌরভ, হরভজন হবেন নাকি আলোচনার বাইরের কোন নাম দায়িত্ব পেয়ে যাবেন, তা ওই বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে।
বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তার দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনাও জোরালো ছিল। সংবাদ মাধ্যমের মতে, শেষ পর্যন্ত অমিত শাহ’র অফিস থেকে সিদ্ধান্ত আসে, সৌরভ নয় বিসিসিআই-এর চেয়ারে বসবেন রজার বিন্নি। বিশ্বকাপ জয়ী এই পেসার অবশ্য তিন বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। বয়স ৭০ বছর হয়ে যাওয়ায় অবসরে যেতে হয়েছে তার।
সৌরভ গাঙ্গুলি সম্প্রতি কোচিংয়ে নাম লিখিয়েছেন। এর মধ্যেই তিনি বিসিসিআই-এর নির্বাচনে অংশ নিতে বেঙ্গল ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্বে ফিরেছেন। ভারতের সংবাদ মাধ্যম বলছে, নির্বাচনে অংশ নিতে শুক্রবার পর্যন্ত নমিনেশন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। এরপর বাছাই শেষে প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করতে পারবেন নির্বাচন কমিশন।