সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫ ৬ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম:


রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৭:২১ PM

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড বিএনপিকে চাপে ফেলে দেয়। ঘটনাটির পর এক সপ্তাহ ধরে বিএনপির বিরুদ্ধে নানামুখী প্রচারণা চলে। এর মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে সংঘটিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বর্বর হামলা করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সমর্থরা। তাতেই বদলে যায় রাজনৈতিক দৃশ্যপট। মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের চরিত্রহনন করে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছিল, তাদের প্রতিই বিএনপির সহনশীল আচরণ ও একাÍবোধ ঘোষণা করা- একটি গণতান্ত্রিক পরিণত নেতৃত্বের প্রতিফলন হিসেবে ধরা দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন প্রতিপক্ষের দুর্বলতা উšে§াচন নয়, তাকে নিঃশেষ করাই হয় কৌশলগত অগ্রাধিকার, তখন প্রতিহিংসার পথে না হেঁটে বিরুদ্ধ মতের প্রতি শিষ্টাচার ও সংবেদনশীলতা দেখিয়ে বিএনপি এক নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা করছে- যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে, কিন্তু বিদ্বেষ নেই; মতপার্থক্য আছে, কিন্তু শত্র“তা নেই। 

নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে নানাভাবে চাপে রেখে, বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনার সূত্র ধরে বিএনপিকে ‘চাঁদাবাজ দল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কোণঠাসা করার যে কৌশল গত কয়েক মাস ধরে পরিলক্ষিত হচ্ছিল, এর বিপরীতে প্রতিপক্ষের প্রতি বিদ্বেষ না দেখিয়ে বরং সহনশীল আচরণ করায় বিএনপির প্রতি জনআস্থা তৈরি হচ্ছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। গত ৯ জুলাই বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জেরে মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদ নামে এক যুবককে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। কিন্তু এটি ‘চাঁদাবাজি’র সূত্রে ঘটেছে বলে ছড়িয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রচারণা দেখা হয়। বিশেষ করে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ঘিরে অশোভন স্লোগান ও কুরুচিকর বক্তব্যও দেখা যায়। এর পেছনে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ ওঠে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিরুদ্ধে। যদিও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রত্যক্ষভাবে কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি। তবে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা তারেক রহমানের চরিত্রহননের অপচেষ্টার পেছনে জামায়াত ও এনসিপির সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তারা এর প্রতিবাদ করতে থাকেন।

এর মধ্যে গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে আক্রান্ত হয় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। তাদের পূর্বঘোষিত জুলাই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতা চালায় পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ইউএনওর গাড়িবহরে হামলা, এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে ভাঙচুরের পর তাদের ফেরার যাত্রায়ও আক্রমণ করে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা। সঙ্গে সঙ্গেই এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানায় বিএনপি। সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে দলটি এই সহিংসতায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিও জানায়। কেবল আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েই নয়, পরবর্তী সময় ফরিদপুরে এনসিপির পরবর্তী কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে কোনো সহিংসতা না ঘটে, সে লক্ষ্যে বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সজাগ অবস্থানের ঘোষণা দেওয়া হয়। গোপালগঞ্জের পরবর্তী পদযাত্রার গন্তব্য ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের নেতারা জানান, তারা গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে সক্রিয় থাকবেন। পাশাপাশি জেলা বিএনপির নেতারাও রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও এনসিপির কর্মসূচি পালনের অধিকারকে সমর্থন জানান।

এনসিপির আবির্ভাব ও বিতর্ক:
জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছিল ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে। এতে পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের জনসাধারণেরও সক্রিয়তা ছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটলে অভ্যুত্থানের মূল কৃতিত্ব মূলত চলে যায় আন্দোলনের মুখপাত্র হিসেবে আবির্ভূত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দখলে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথাই বেশি ফোকাস হয়। ফলে আন্দোলনের এক বিস্তৃত ভিত্তি থেকে যায় উপেক্ষিত। পরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বেই গঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক দল-জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনৈতিক দল গঠনের পর আন্দোলনকালীন আবেগ ও সমর্থনের জায়গা কিছুটা হলেও নড়বড়ে হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এনসিপির কতিপয় নেতার সরাসরি ও ইঙ্গিতমূলক বক্তব্য বিভাজন উসকে দেয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সেনাবাহিনী এবং বিএনপিসহ নানা ইস্যুতে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের কিছু মন্তব্য এবং দলীয় নেতাদের কিছু কর্মকাণ্ড বিতর্কের জš§ দেয়। এতে তাদের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং সাধারণ মানুষের মনেও বিভ্রান্তি তৈরি করে। অনেকেই মনে করছেন, আন্দোলনকেন্দ্রিক আবেগের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও রাজনৈতিক পরিণতি এবং বাস্তবতা সামাল দেওয়ার মতো পরিপক্বতা এখনো জাতীয় নাগরিক পার্টির মধ্যে অনুপস্থিত। ফলে রাজনৈতিক পরিসরে তারা এখনও ‘আন্দোলনভিত্তিক’ হলেও ‘পরিণত বিকল্প’ হয়ে উঠতে পারেননি।

জামায়াতের অবস্থান:
অন্যদিকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের যাঁতাকালে বিএনপির মতোই পিষ্ট হওয়া জামায়াতে ইসলামী জুলাই অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে বড়সড় সুযোগ পায়। এরই সুবাদে জামায়াত নিজেকে বিকল্প শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর হয়ে ওঠে। বিএনপির প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচনের দাবির বিপরীতে জামায়াত ও এনসিপি বিচার, সংস্কারসহ নানাবিধ ইস্যু সামনে এনে সোচ্চার হয়। এ নিয়েও বিএনপির ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা চোখে পড়ে। তবে ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারিত হলে বিএনপি বলয়ে স্বস্তি ফেরে। কিন্তু এই সময়সীমা নির্ধারণে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অবহেলা করা হয়েছে উল্লেখ করে এর সমালোচনায় নামে জামায়াতসহ অন্যরা। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী মেয়াদকাল নির্ধারণসহ সংস্কারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি একে অপরের বিপরীতমুখী অবস্থানে গিয়ে দাঁড়ায়। একই সময়ে ‘বিএনপি সংস্কার চায় না’- এমন প্রচারণা রাজনৈতিক ময়দানে ছড়ানো হয়, যা দলটির ভাবমূর্তিতে আরও আঘাত করে। এর সঙ্গে যোগ হয় বিএনপির ‘দুধের মাছি’ কিছু নেতা-কর্মীর বেপরোয়া আচরণ।

সহাবস্থানের ঘোষণা আলোচনায় বিএনপি:
গোপালগঞ্জের ঘটনার পর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ও জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিএনপি ফের রাজনৈতিক অঙ্গনে সামনে চলে আসে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অধিকার রক্ষার পক্ষে বিএনপির অবস্থান এবং সহাবস্থানের ঘোষণা ইঙ্গিত দেয়- ফ্যাসিস্ট আচরণের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানপন্থী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার কৌশলগত জায়গা থেকে তারা এনসিপিকে প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহযাত্রা হিসেবে বিবেচনায় নিচ্ছে। অবশ্য, বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ঘিরে নানা বক্তব্য দিলেও ৫ আগস্টের পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক সৌজন্য ও সহনশীলতা দেখিয়ে এসেছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই তিনি অভ্যুত্থানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন। তাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও বৃহত্তর গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা বারবার তুলে ধরেছে তিনি। এই রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ফলে একটি দলের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা তারেক রহমান ক্রমেই একজন অভিজ্ঞ, বিচক্ষণ ও ধৈর্যশীল কৌশলী জাতীয় নেতায় পরিণত হচ্ছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তিনি যেভাবে সংঘাত এড়িয়ে, রাজনৈতিক সৌহার্দ্য রক্ষার বার্তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি পরিণত নেতৃত্বের উদাহরণ বলে মনে করছেন তারা।
সাংবাদিক, শিক্ষক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর তার এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে তারেক রহমানের বক্তব্যে ব্যাপক পরিবর্ত লক্ষণীয়। আমাদের মনে হয়েছে, শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে উনি একজন স্টেটম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। গত কয়েক দিনের রাজনীতি খেয়াল করলে দেখা যাবে, বিএনপিকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, এটাতে দেখা গেল, ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই বিএনপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সবাই উঠে পড়ে লেগেছে।’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘দেশ এখন এক সংকটময় পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এ সময় সব দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে। তারেক রহমান যে বিচক্ষণতার সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এটাই কাম্য। তবে উনি দেশে ফিরে সশরীরে নেতৃত্ব দিতে পারলে দলের ভেতর যে বিশৃঙ্খলা চলছে, তা ভালোভাবে হয়তো সামলাতে পারতেন। কেন তিনি দেশে ফিরছেন না, জানি না।’

দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা। তিনি যখন স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ঠিক তখনই একটি গোষ্ঠী তার চরিত্রহননে নেমেছে বলে মনে করছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা। 

তারা মনে করছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা চাইছে না দেশে এসে তারেক রহমান শক্তভাবে দলের হাল ধরুক। তাই পরিকল্পিতভাবে তাকে টার্গেট বানিয়ে সামাজিকমাধ্যমেও তার বিরুদ্ধে নানা ক্যাম্পেইন চলছে। তার নেতৃত্ব ধ্বংস করাই মূল টার্গেট বলে মনে করছেন তারা। বিগত ১৬-১৭ বছর নির্মম নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া বিএনপি দেশের সংকটময় মুহূর্তে প্রতিশোধের রাজনীতিতে আগ্রহী নয়, বরং ধৈর্য্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে দলটি সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘দেশ দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদের কবলে ছিল। আমরা আর কোনো সংঘাত চাই না। বিএনপির নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি ফ্যাসিস্ট দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। তবু আমরা প্রতিশোধপরায়ণ হতে চাই না। সব দলের সঙ্গে সহাবস্থানে থেকেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই। দুঃখজনকভাবে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং তারেক রহমানকে ঘিরে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশের স্বার্থে এসব কাজ থেকে তাদের বিরত থাকার আহ্বান জানাই। এখন বিভেদের সময় নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সময়।’

মিটফোর্ডের ঘটনা কিংবা গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার পর বিএনপি যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা প্রমাণ করে, বিএনপি এখন আর শুধুই একক রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে এগিয়ে চলা কোনো দল নয়, বরং হয়ে উঠছে গণতান্ত্রিক ঐকমত্যের জন্য এক সম্ভাব্য ভিত্তি- এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া দলটির অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি অভিযান ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অধিকার রক্ষার সদিচ্ছাতে দৃশ্যমান হচ্ছে- বিএনপি এখন প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, বরং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত একটি পরিণত শক্তি। এখন প্রশ্ন- এই পরিবর্তন কি ধরে রাখতে পারবে বিএনপি? রাজনীতিতে সত্যিকার ‘ভরকেন্দ্র’ হয়ে উঠতে হলে এই নীতি ও নৈতিকতার পথেই কি তারা দীর্ঘদিন চলতে পারবে? নাকি ক্ষমতার পালা বদল হলে তারাও রূপ বদলাবে? সময়ের সঙ্গে সেই উত্তর স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা।







আরও খবর


প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com