প্রকাশ: শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫, ৬:৩৪ PM
স্বপ্ন দেখতে কারো নিষেধ নেই, তবে সেই স্বপ্ন যদি হয় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর, তাহলে তা হয়ে ওঠে সমাজ বদলের হাতিয়ার। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের আম ভদ্রপাড়া গ্রামের নবীজ উদ্দিনের মেয়ে রত্না ফারিহা এমনই এক মানবিক স্বপ্ন দেখেন।
রত্না বর্তমানে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। অর্থনৈতিকভাবে সীমিত একটি পরিবারে বেড়ে উঠলেও তার হৃদয়ে আছে অসীম ইচ্ছাশক্তি। ছোটবেলা থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাকে ঠেলে দেয় স্বেচ্ছাসেবী কাজের দিকে। কখনও অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা সহায়তা, কখনও যাতায়াত ভাড়ার ব্যবস্থা কিংবা কখনও দুর্দশাগ্রস্ত পথচারীর সেবায় ছুটে গেছেন নিঃস্বার্থভাবে।
গত বছর দেশজুড়ে চলা ছাত্র-যুব আন্দোলনের সময়েও রত্নার সক্রিয় উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উলিপুর থেকে ছুটে এসে কুড়িগ্রামের ব্যস্ত সড়কে দায়িত্ব পালন করেছেন স্বেচ্ছায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়।
তার জীবনের বড় অনুপ্রেরণা কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা। জেলা প্রশাসকের স্নেহ ও সহযোগিতায় রত্না বহু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রত্না বলেন, “আমি খুব সাধারণ একটি মেয়ে। কিন্তু আমার স্বপ্ন, আমি একজন বড় স্বেচ্ছাসেবক হবো। আমি বিশ্বাস করি—মানুষের পাশে দাঁড়াতে অর্থ নয়, দরকার মন আর সদিচ্ছা।”
রত্না ফারিহা আজ কুড়িগ্রামের সচেতন মানুষের কাছে এক আশার নাম। তার মতো তরুণদের মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে মানবিক ও সহানুভূতিশীল বাংলাদেশ—এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।