কানাডা প্রবাসী এক নারীর প্রজেক্টে হাত বোমার বিস্ফোরণ ও গুলি ছুড়ে হামলাকারীরা ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। ঢাকার আশুলিয়ায় বিএনপি নেতাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে কানাডা প্রবাসী মিসেস মরিয়ম ইয়াসমিন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন বলে জানান আশুলিয়া থানার এসআই শেখ মো. মাসুদ আল মামুন।
আসামিরা হলেন- ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক দুলাল (৫০), তার সহযোগী মো. আলম (৪৭), মো. দেলোয়ার (৬২), ছোট নূরা (৩০), মো. বাবু (৩০), মো. ফরিদ (২৮), বড় নূরা (৩৫) এবং মো. শাহাদাত (২৫) সহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৬ জন।
বাদী মরিয়ম আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার বাসিন্দা। বাদীর প্রজেক্টে বিএনপি নেতা দুলালের নেতৃত্বে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপি নেতা দুলাল দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দখলবাজ চক্র পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।
প্রবাসী মরিয়মের করা মামলার বরাতে এসআই মামুন বলেন, “এক মাসে প্রবাসী মরিয়মের প্রজেক্টে তিনবার হামলার ঘটনা ঘটে। সেই সময় হামলাকারীরা সিসিটিভি ক্যামেরা, মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।”
তিনি বলেন, “বুধবার বিএনপি নেতা দুলালের নেতৃত্বে একদল লোক আবার ওই প্রজেক্টে হামলা চালিয়ে হাত বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি ছুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। পরে অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালিয়ে প্রজেক্টের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়।
“এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। হামলাকারীরা প্রজেক্টের কর্মচারীদের বেতনের প্রায় চার লাখ টাকা লুট করে আরও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।”
বাদী মরিয়মের অভিযোগ, “মামলা হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে আসামিদের গ্রেপ্তার করছেন না। বিএনপি নেতা দুলাল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মামুন বলেন, “মামলার দ্বিতীয় আসামি বিএনপি নেতা দুলাল। জায়গা জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মামলাটি হয়েছে। তবে চাঁদা দাবি ও টাকা লুটের ঘটনা কতটুকু সত্য, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এ বিষয়ে কথা বলতে বিএনপি নেতা দুলালের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।