প্রকাশ: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৬:১৬ PM
গল টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে নাঈম হাসান জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের জয়ের জন্য সুযোগ আছে। শ্রীলঙ্কার হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে এক প্রকার ঘোষণাই দিয়েছিলেন তারা জয়ের জন্য যাবেন। সকালের প্রথম সেশনে বাংলাদেশকে অল আউট করে দিনের শেষ দুই সেশনে ম্যাচ জিতে নেয়ার আশা ছিল লঙ্কানদের। গলে ম্যাচের তিনটা ফলাফলে সম্ভাবনাই ছিল। উইকেট বিবেচনায় বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা যেমন ছিল তেমনি শ্রীলঙ্কারও সুযোগ ছিল। তবে সবচেয়ে সম্ভাব্য ফলাফলটা ছিল ড্র। বাংলাদেশের জন্য হেরে যাওয়াটা একটু কঠিনই ছিল।
এমন অবস্থায় সকালের শুরুতে সফরকারীরা কেমন অ্যাপ্রোচে ব্যাটিং করে সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আগের দিনের বিকেলের মতো নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম মিলে দেখেশুনেই ব্যাটিং করছিলেন। মাঝে বৃষ্টি হানা দিয়ে ম্যাচের ফল ড্রয়ের দিকেই ঠেলে দিয়েছে। বৃষ্টি শেষে শান্ত সেঞ্চুরি করে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেন। জিততে হলে দিনের বাকি ৩৭ ওভারে ২৯৬ রান করতে হতো শ্রীলঙ্কাকে। অর্থাৎ ওভারপ্রতি ৮ রান করতে হতো স্বাগতিকদের। বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১০ উইকেট।
টেস্ট এবং পঞ্চম দিনের উইকেটের বিবেচনায় সমীকরণটা শ্রীলঙ্কার জন্য কঠিনই। তবুও দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও লাহিরু উদারা মিলে ইতিবাচক শুরুই করেছিলেন। তবে চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে তাদের দুজনকে ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম। চা-বিরতিতে শেষে ফিরে অনেকটা ড্রয়ের জন্যই ব্যাটিং করছিলেন দীনেশ চান্দিমাল ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তাদের দুজনের ব্যাটিং দেখে সেটারই ইঙ্গিত মিলেছে। শেষ পর্যন্ত তারা দুজনও আউট হয়ে গেছেন। একটু পর দুই দলের অধিনায়ক শান্ত ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ড্র মেনে নিলে কয়েক ওভার থাকতেই খেলা শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)— ৪৯৫/১০ (১৫৩.৪ ওভার) (শান্ত ১৪৮, মুশফিক ১৬৩, লিটন ৯০; আসিথা ৪/৮৬, মিলান ৩/৩৯)
শ্রীলঙ্কা (প্রথম ইনিংস)— ৪৮৫/১০ (১৩১.২ ওভার) (নিশাঙ্কা ১৮৭, উদারা ২৯, চান্দিমাল ৫৪, ম্যাথিউস ৩৯, ধনঞ্জয়া ১৯, কামিন্দু ৮৭, মিলান ৩৯; নাঈম ১২১/৫)
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস)— ২৮৫/৬ (৮৭ ওভার) (ইনিংস ঘোষণা) (বিজয় ৪, সাদমান ৭৬, শান্ত ১২৫*, মুমিনুল ১৪, মুশফিক ৪৯, লিটন ৩, জাকের ২, নাঈম ৭*)
শ্রীলঙ্কা (দ্বিতীয় ইনিংস)— ৭২/৪ (৩২ ওভার) (নিশাঙ্কা ২৪, কামিন্দু ১২*, ধনঞ্জয়া ১২*; তাইজুল ৩/২৩)