দলীয় দুর্দিনে যখন অনেকেই রাজপথ থেকে সরে দাঁড়ান, তখন সাহসিকতার সঙ্গে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অ্যাডভোকেট এরশাদ আলম জর্জ।
ঢাকা আইনজীবী সমিতি থেকে শুরু করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম পর্যন্ত তার নির্ভীক ভূমিকা তাকে দলমত নির্বিশেষে একজন ক্লিন ইমেজের সাহসী নেতায় পরিণত করেছে।
ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু করে আইনের মাঠ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তার লড়াকু ও জনমুখী ভূমিকা আজ শেরপুর-৩ শ্রীবরদী ঝিনাইগাতী আসনের মানুষের কাছে নতুন আশার আলো হয়ে উঠেছে।
এখন অনেকেই মনে করেন, এই পরীক্ষিত নেতাই হতে পারেন শেরপুর-৩-এর কার্যকর ও জনদরদি প্রতিনিধি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এই নেতা বর্তমানে দলের আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪, ঢাকা-এর পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৯০ সালে, শ্রীবরদী সরকারি কলেজে ছাত্রদলে যোগদানের মাধ্যমে। তখন থেকেই শ্রীবরদী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য হিসেবে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ভিপি নির্বাচনের প্রস্তুতি চলাকালীন, ইংরেজি সাহিত্যে বি.এ শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও সেন্ট্রাল "ল" কলেজে। সেখান থেকে সফলভাবে এম.এ এবং এলএলবি সম্পন্ন করেন।
এরশাদ আলম জর্জ, শিক্ষা জীবনে ছিলেন নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, সেন্ট্রাল ল কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব, এবং জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। এরশাদ আলম জর্জ আইনের পথে হাঁটতে শুরু করেন বার কাউন্সিলের ভোকেশনাল কোর্স সফলভাবে শেষ করে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে যোগ দিয়ে দেশের দুর্দিনে দাঁড়িয়েছেন রাজনৈতিক সক্রিয়তায়। ২০১২-১৩ সালে ঢাকা 'বার' নির্বাচনে দলের সংকটকালে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন অফিস সেক্রেটারি পদে। হাবিবুন নবী খান সোহেল, মরহুম বাবু ও সপু এর কমিটিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয়সহ-আইন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পাশাপাশি ছিলেন প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা গ্রুপের আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং ঢাকা আইনজীবী ফোরামের সহ- সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও কখনো সরে যাননি এই নেতা। করোনা মহামারিতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে।
শীতকালে দিয়েছেন গরম কাপড়, আর্থিক সহায়তা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে পাশে দাঁড়িয়েছেন দুঃস্থদের। দলীয় পদে থেকে রাজপথে আন্দোলন, আইন পেশায় সুনাম, আর মানবিক কাজে সম্পৃক্ততা—সব মিলিয়ে অ্যাডভোকেট এরশাদ আলম জর্জ হয়ে উঠেছেন শেরপুর-৩ আসনের নতুন আলো।
এগিয়ে চলা তার, জনগণের ভালোবাসা পাশে নিয়ে।
"মানবসেবা পরম ধর্ম"—এই বিশ্বাসে অটল অ্যাডভোকেট এরশাদ আলম জর্জ। জাতি, ধর্ম, দলমত নির্বিশেষে মানবতার কল্যাণে তিনি নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়ানোকেই জীবনের মূল ব্রত বলে মনে করেন এই তরুণ রাজনীতিক ও আইনজীবী। জননেতা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলম জর্জ বলেন, “ আমি রাজনীতি করি মানুষের অধিকার ও ন্যায়ের পক্ষে। শেরপুর-৩-এর জনসাধারণের ভালোবাসাই আমার প্রেরণা, আমি ছিলাম, আছি, আগামীতেও থাকব তাদের পাশে।”
“দলীয় আস্থার প্রতীক, রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক এবং সাধারণ মানুষের পাশে থাকা এক মানবিক মুখ—অ্যাডভোকেট এরশাদ আলম জর্জ। শেরপুর-৩ শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী আসনে তার নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছেন জনগণ।