বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫ ২ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম:


ঝিনাইগাতীতে পাহাড় ও নদী থেকে পাথর ও বালু লুটপাট চলছেই ,সৌন্দর্য হারাচ্ছে গারো পাহাড়
আরএম সেলিম শাহী, শেরপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ৭:৫০ PM আপডেট: ১৩.০৬.২০২৫ ৭:৫৫ PM

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড় ও নদী থেকে পাথর ও বালু লুটপাট চলছেই। ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাচ্ছে গারো পাহাড়। জানা গেছে, যে সৌন্দর্যকে ঘিরে ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার গারো পাহাড়ের গজনীতে গড়ে তোলা হয়েছে একটি পর্যটন কেন্দ্র। মৌজার নামানুসারে পর্যটন কেন্দ্রের নাম রাখা হয় গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিবছর সারাদেশ থেকে লাখ লাখ ভ্রমণ পিপাসুদের আগম ঘটে এ পর্যটন কেন্দ্রে।

এখান থেকে সরকারের ঘরে আসে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব। এ পর্যটন কেন্দ্রের চার পাশে পাহাড়, খাল,বিল, নদী নালা। যা পর্যটন কেন্দ্রের আকর্ষণীয় করে রেখেছে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যের ক্ষতি সাধন করে পর্যটন কেন্দ্রের চার পাশের নদী নালা খাল বিল ঝরনা ও পাহাড় কেটে অবাধে পাথর ও বালু লুটপাট  চালিয়ে আসছে। জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী বালুদস্যুরা উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কালঘোষা নদীর হালচাটি, মালিটিলা,গান্ধীগাঁও বাঁকাকুড়া,
দরবেশতলা, মঙ্গল ঝুড়া, পশ্চিম বাঁকাকাকুড়া, ৫নাম্বার নামকস্থান, ছোটগজনী, গজনীসহ আশপাশের এলাকার নদী, পাহাড়, ঝুড়া, খালবিল ও ঝর্ণা থেকে অবাধে পাথর বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে।


জানা যায়,শতশত বালুদস্যু দিনে রাতে লাখ লাখ টাকা মূল্যের বালু পাথর লুটপাট করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। ট্রাক,মাহিন্দ্র ও ট্রলিগাড়ি যোগে এসব বালু পাথর দিনে রাতে পরিবহণ করা হচ্ছে। বালুদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় বালু কাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদতো দুরের কথা মুখ পর্যন্ত খুলতে সাহস পায় না। আবার কেউ মুখ খুললে তাঁদের উপর নেমে আসে বালুদস্যুদের হুমকি ধামকি। এরপরেও মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসনও বনবিভাগের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আটক করা হচ্ছে বালু ভর্তি মাহিন্দ্র। কিন্তু এরপরেও বন্ধ হচ্ছে না গারো পাহাড় থেকে বালু পাথর লুটপাট।

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে এক সপ্তাহে তারা অভিযান চালিয়ে বালু ভর্তি ৫ টি মাহিন্দ্র গাড়ি আটক করে। এসময় বালুদস্যুরা তাদের গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে রাংটিয়া ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে কেঁচিগেইটে হামলা চালায় এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গত ৪ জুন রাতে বালু ভর্তি ৮/১০ টি মাহিন্দ্র পাচার কালে উপজেলা সদর বাজারে বালুর বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে বালুদস্যুরা স্থানীয় একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বালু শ্রমিকদের সাজা দেয়ায় ইউএনও'র বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে বালুদস্যুরা। বর্তমানে ও থেমে নেই অবৈধভাবে বালুও পাথর লুটপাট। দিনে রাতে হরদমই চলছে পাঁচার। পাহাড়, নদী নালা ও ঝর্ণা থেকে অবাধে পাথর ও বালু লুটপাটের কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে।

গজনী ফরেষ্ট বিট কর্মকর্তা সালেহীন নেওয়াজ বলেন লোকবলের অভাবে নিরাপত্তাজনিত কারণে রাতের আঁধারে বালুদস্যুদের  ঠেকাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, অবৈধভাবে বালু লুটপাট বন্ধে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে।







আরও খবর


 সর্বশেষ সংবাদ

শ্রীলঙ্কায়ার মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের
হত্যার উদ্দেশ্যে মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা জঙ্গি কায়দায় হামলা করেছে: নাহিদ
কালীগঞ্জে যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের স্মরণে কোরআন খতম, আলোচনা ও দোয়া
ঝিনাইগাতী থেকে যা কিছু দেখেছি সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী রফিকুলকে অটোরিক্সা প্রদান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ‘লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ’: ইনকিলাব মঞ্চ
আরো খবর ⇒


 সর্বাধিক পঠিত

প্রতিদিন বাংলাদেশ এর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিফাতুল্লাহ কে সংবর্ধনা।
নালিতাবাড়ীতে নন্নী-পোড়াগাঁও মৈত্রী কলেজে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ,আটক ১৮
কালীগঞ্জে নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন
নালিতাবাড়ীতে সিএনজি চালকের মরদেহ উদ্ধার
সখীপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com