‘বাংলাদেশের ইউরোপ সেতু বন্ধন’ শিরোনামে জার্মান বাংলা চ্যানেল অ্যাসোসিয়েশন- এর উদ্যোগে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের সালবাউতে ৬ই জুন,বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আয়োজন করা হয় ‘জার্মান বাংলা এসোসিয়েশন’-এর ৮ম বর্ষপূর্তি ও ঈদ আনন্দ উৎসব।
জার্মান বাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রকাশক ও সম্পাদক ফাতেমা রহমান রুমার নেতৃত্বে ও উপস্থাপনায় ঈদ আনন্দ উৎসবের অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে আগত উপস্থিত বাচ্চারা ফিতা কেটে মেলা উদ্বোধন করে।
উদ্বোধনের পর ঈদ আনন্দ মেলা অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন তাহমিদ জাহিদ। গীতা পাঠ করেন রুদ্র ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
কবিতা আবৃত্তি করে হাফিজুর রহমান আলম ও মুনিব রেজোয়ান ।অনুষ্ঠানকে মুগ্ধ করে তোলে। এরপর উপস্থিত শিল্পি রঞ্জু সরকার ,তারসী রায় ,তনিমা তাসনিম সবুজ ,মায়েদুল ইসলাম তালুকদার ,বাবুল খান বিভিন্ন সংগীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে জার্মানির বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসী বাঙালিরা ঈদ আনন্দ উৎসবে অংশগ্রহণ করে। সকল জাতি ধর্মের প্রবাসীরা ঈদ আনন্দ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিবর্গ জার্মানির বিভিন্ন শহর থেকে ফ্রাঙ্কফুর্টে এই ঈদ আনন্দ উৎসবে এসে তাদের মূল্যবান অনুভূতি প্রকাশ করেন।
কমিউনিটির সম্মানিতদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহাসীন হায়দার মনি , হামিদ খান , শাহ আলম , আমানউল্লাহ ইসলাম, রেজা সেলিম , তনিমা তাসনিম, লিপিকা আহম্মেদ , মাহফুজ ফারুক, জাহিদুল ইসলাম পুলক ও সাংবাদিক খান লিটন ।
বাঙালি সংস্কৃতি ও বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার অঙ্গীকার করেন এবং এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য জার্মান বাংলা অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান। বলা যায়, জার্মানিতে বাঙালিদের এটাই প্রথম ঈদ আনন্দ উৎসব মেলা।
মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশীয় ঐতিহ্যের আলোকে মোট ৮টি স্টল বসে। যথা:লিপিকা আহম্মেদ -লি”স ওড্রপ ড্রেস ,শাড়ী ,।বকুল রহমান(ড্রেস ,শাড়ী,জুয়েলারী, মেহেদি হেনা,পুডিং), শেফালি বিজবাডেন (মুরগির বিরিয়ানি,খিচুড়ী,গরুর বিরিয়ানি,ঝর্দা,পান),সামসাদ আক্তার ও মমোতাজ (চিতয় পিঠা,ভর্তা,গহনা), ইয়াসমিন (চা ,বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি,রোল, সমচা),উর্মি ও সেন্টু (ঝাল মুড়ি, জিলাপি ২ রকমের চটপটি, ফুচকা, মরিচের চিতয়, ধনিয়া পাতার চিতয়,হাতে বানানো লাচ্চা সেমাই, ঝাল মুড়ির মসলা প্যাকেট ও ছোলা ভুনা), নাফিসা (কফি,পেটিস,চিপস,ড্রিস) ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসীরা উৎসাহ নিয়ে স্টল থেকে বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করে।
ঈদ উৎসবে এক টুকরো বাংলাদেশের চিত্র প্রতিফলিত হয়। জার্মানিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাঙালিরা বাংলাদেশকে অনুভব করেন। জার্মান বাংলা অ্যাসোসিয়েশনের এই ঈদ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা। সেই উদ্দেশ্য সফলভাবে সূচনা হয় এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।