জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের স্লোগান স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখী কাকরাইল মোড়। শুক্রবার (১৬ মে) সকাল থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকেন জবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।সরেজমিনে দেখা যায়, দাবি আদায়ে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ পর পর ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
আবার কেউ কেউ ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসছেন কাকরাইল মোড়ে। জানাচ্ছেন আন্দোলনরতদের সঙ্গে সংহতি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে মুখরিত হয়ে উঠেছে কাকরাইল মোড়। আন্দোলনকারীরা দিচ্ছেন জ্বালাময়ী বক্তৃতা ও প্রতিবাদী স্লোগান।
সে সবের মধ্যে আছে- ‘ইউজিসির কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ ‘আমার ভাই আহত কেন, মাহফুজ তুই জবাব দে’ ‘আমার বোন আহত কেন, মাহফুজ তুই জবাব দে’, ‘১, ২, ৩, ৪ ক্যাম্পাস আমার অধিকার, ‘বৈষম্যের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ক্ষমতা না জনতা জনতা, জনতা জনতা’।
এছাড়া ‘তুমি কে, আমি কে? জবিয়ান জবিয়ান’, সিন্ডিকেটের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত, ‘রক্ত লাগলে রক্ত নে, তবু মোদের হল দে’, ‘আইসা পড়ছি যমুনা, খালি হাতে যামু না’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে’সহ নানা স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তিন দফা দাবিতে গত বুধবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার অভিমুখে কাকরাইলে মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জবি শিক্ষার্থীরা। সেগুলো হলো-
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।