প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ৮:৩৭ PM
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকারের সাঙ্গপাঙ্গরাই লুটপাট-ব্যাংক ডাকাতি করছে। গত ৮ মাসে ৯০হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এখন আমরা পাচারকারীদের পাল্লায় আছি। উপদেষ্টাদের অনেকের বাপ-চাচারা ব্যবসা শুরু করেছে, ঘুষ খাওয়া শুরু করেছে। এ সরকারের বিরুদ্ধে কোনো মিডিয়ায় কোনো কথা নাই। মিডিয়ার কোনো স্বাধীনতা নাই। লজ্জায় আরও অনেক কর্মকাণ্ডের কথা বলছি না।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে কুমিল্লায় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। আগে আমরা ছিলাম কুকুরের মুখে, এখন বাঘের মুখে। সিন্দাবাদের বুড়ো, আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে; ঘাড় থেকে নামতে চান না।ওনাকে ঘাড় থেকে ঝাঁকি দিয়ে নামাতে হবে। আমাদের নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার, আমাদের ন্যায্য অধিকার। হিসেবের পাওনা, আমরা বুঝে নিতে চাই; আমরা ভিক্ষা চাই না।
মির্জা আব্বাস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি নির্ধারণে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। মির্জা আব্বাস অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডোর ইস্যুতে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক আপনারা নন। করিডোর দেওয়ার বিষয়ে সাবধান হওয়ার আহ্বান জানাই। নির্বাচিত সরকার ছাড়া এ সিদ্ধান্ত আপনারা নিতে পারেন না। করিডোরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে বিএনপি। এ সমস্ত অপকর্ম যদি করতে চান তার পরিণতি ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি জাকারিয়া তাহের সুমন, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মো. মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াছিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারি আবু, সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমিরসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।