প্রকাশ: বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ১০:৪৭ PM
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর আবারও কমলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। দেশের গ্রস রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারে।
বুধবার (৭ মে) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল বাবদ ১ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন বা ১৮৮ কোটি ডলার পরিশোধ করছে বাংলাদেশ। এতে সুদের হার ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। তবে এখন আকুর সদস্য পদ নেই শ্রীলঙ্কার। অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমদানি ব্যয় পরিশোধের বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির আকু সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে দেশে কয়েক মাস ধরেই ২০ বিলিয়নে উঠা নামা করলেও গেল এপ্রিল মাসে মাসের শেষে ২২ বিলিয়ন ছাড়ায় রিজার্ভ। আর গ্রস রিজার্ভ অতিক্রম করে ২৭ বিলিয়ন ডলার। একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব। নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ বের হয়।