প্রকাশ: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ৭:৪৮ PM
শেরপুরের ঐতিহাসিক ও প্রাচীন মসজিদ মাই সাহেবা জামে মসজিদ কমিটির আয়োজনে প্রতিদিন গণইফতারে প্রায় ৬ শতাধিক মানুষ ইফতার করছে। রমজানের শুরু থেকেই এ গণইফতারে স্থানীয় এলাকাবাসী পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাটবাজারে আসা বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ এবং খেটে খাওয়া ও দিনমজুররা অংশগ্রহণ করছে।জানা গেছে, প্রায় আড়াইশত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মাই সাহেবা মসজিদটি ভেঙে সম্প্রতি আধুনিক স্থাপত্যকলায় নির্মাণ করা হয়। প্রাচীনকালের ওই মসজিদটিতে মাত্র ২১ জন নামাজ পড়া যেতো। এ মসজিদের দান বাক্সে ভক্তদের প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা জমা পড়ে। শেরপুর জেলার মধ্যে এই মসজিদটি সর্বোচ্চ আয় হয়ে থাকে। ফলে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে ইসলামী শৈল্পিক ও আধুনিক স্থাপত্যকলায় মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদটি বর্তমানে দুই তলার কাজ সম্পন্ন হল তৃতীয় তলার কাজ চলছে। এখানে প্রায় ছয় হাজার মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটি সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানে ১০ হাজার মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা গেছে।
চলতি বছর এই মসজিদে রমজানের শুরু থেকে নতুন মসজিদ কমিটির উদ্যোগে এ কোন ইফতারের আয়োজন করা হয়। ইফতারে প্রতিদিন খিচুড়ি, বুট মুড়ি, পিয়াজু, খেজুর ও পানি ব্যবস্থা করা হয়। ইফতারের ঠিক পাঁচ থেকে দশ মিনিট আগে শহরের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ লাইন ধরে স্ব-উদ্যোগে পানির বোতল সংগ্রহ করে মসজিদের নিচ তলায় লাইন প্রবেশ করেন। সেই সাথে ইফতার আয়োজক কমিটির সাজিয়ে ঢাকা ইফতারের প্লেট সু-শৃঙ্খভাবে লাইন ধরে নিয়ে বসে পড়েন। মাই সাহেবা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী জানায়, আমরা শহরে আগত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এবং এলাকার মানুষের সুবিধার্থে রমজানের শুরু থেকেই এই গণইফতারের আয়োজন করে যাচ্ছি। তবে এ ইফতারে মসজিদ কমিটির তহবিল থেকে কোন টাকা ব্যয় করা হয় না। কমিটির সহৃদয়বান ব্যক্তি এবং সমাজের বৃত্তশালী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই ইফতার তহবিলে অর্থ দিয়ে থাকেন। এছাড়া ইফতারের সকল কিছুই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রান্না করা হয়।