প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৭:২৮ PM
১৬ মার্চের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সব বই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান।
অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম আজ-কালের মধ্যে সব বই দেওয়ার জন্য। এখন আমরা প্রতিযোগিতা করছি ২০২৩ সালের ১৭ মার্চের সঙ্গে (তার তথ্য অনুযায়ী ওই বছর সর্বশেষ বই দেওয়া হয়েছিল ১৭ মার্চ)। এখন ১৬ মার্চের মধ্যে দিতে পারলেও পেছনের দিক থেকে দ্বিতীয় হব।
শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। দফায় দফায় সব বই বিতরণের দিন-তারিখ ঠিক করে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। গত ৫ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে বিদায় নেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সেদিন তিনি ১০ মার্চের মধ্যে শিক্ষার্থীরা সব বই পেয়ে যাবে বলে জোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। তবে সেই প্রতিশ্রুতিও রাখতে পারেনি এনসিটিবি।
বই দিতে দেরি হওয়ার পেছনে ছাপাখানা মালিকদের দায়ী করে অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, কিছু প্রেস কাজ পেয়েছে, কিন্তু কাজটা তারা নানান বাহানায় করছে না। তারা আসলে সিক (অসুস্থ)। তারা কারও কথাও শুনতে চান না। এজন্যই বই দিতে এত দেরি। তাছাড়া একটি প্রেসের বাইন্ডিং হাউজে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটাও বই দেরিতে দেওয়ার অন্যতম এক কারণ। এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১০ মার্চ) পর্যন্ত ৩৮ কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছে। এ বছর মোট বই ৪০ কোটি ১৬ লাখের কিছু বেশি। সেই হিসাবে এখনও প্রায় ২ কোটি বই ছাপা বাকি। তাছাড়া ছাপা হলেও আরও দুই কোটি ৩৭ লাখ কপি বই বিতরণ প্রক্রিয়াধীন। সেগুলো এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি।