প্রকাশ: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৭:২৪ PM
অযত্ন করা হলে চুলের সমস্যা বাড়ে। তবে চুলার পড়ার ক্ষেত্রে কেবল অযত্নই দায়ী নয়। এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। অনেক সময় দেহে ভিটামিন ডি, বি১২, আয়রন, জিঙ্কের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হয়। যা থেকে চুল পড়া বাড়ে। তখন তেল শ্যাম্পু মেখেও লাভ হয় না।
একইভাবে, দেহে হরমোনাল ইমব্যালান্স তৈরি হলেও চুল ও ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কেবল চুলের যত্ন নিলেই চুল পড়া বন্ধ হবে না। চুল পড়ার পেছনে কী কী হরমোন দায়ী চলুন জানা যাক-
প্রেগন্যান্সি ও মেনোপজ
গর্ভাবস্থায় অনেক নারীই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। এর পেছনেও দায়ী হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। মেনোপজের পরও একই কারণেই চুল ওঠে। মেনোপজের সময় নারীদের দেহে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের মাত্রা উপর-নীচ হয়ে যায়। বিশেষত এই দুই হরমোনের মাত্রা কমে যায়। যার প্রভাব পড়ে চুলের বৃদ্ধিতেও। দেখা দেয় চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, চুল উঠে যাওয়ার মতো সমস্যা।
পুরুষ হরমোন
নারীদের দেহে যদি টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় বা অত্যধিক পরিমাণে কমে যায়, তখনও চুল পড়ে। এই কারণেই পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে ভোগা নারীদের চুল পড়ার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে নারীদের দেহে অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বেড়ে গেলেও চুল পড়া বাড়ে। টেস্টোস্টেরন ও অ্যান্ড্রোজেন দুটোই হলো পুরুষ হরমোন।
থাইরয়েডের সমস্যা
হাইপারথাইরয়েডজিম হোক বা হাইপোথাইরয়েডজিম— উভয় ক্ষেত্রেই থাইরয়েড হরমোন ঠিকমতো কাজ করে না। তখন নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। যার মধ্যে চুল পড়াও রয়েছে। থাইরয়েড হরমোন চুলের বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
মানসিক চাপ
অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে দেহে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন শারীরিক জটিলতা বাড়ায়। এই হরমোন অতিরিক্ত পরিমাণে নির্গত হলে মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়ে। অর্থাৎ চুল পড়ার পেছনে মানসিক চাপও দায়ী।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে চুল পড়ার সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে এবং ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো কাজ না করলে চুলেও তার প্রভাব দেখা দেয়। যার কারণে চুল পড়ে।