জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশে জন্ম নিলো আরেকটি নতুন রাজনৈতিক দল। ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আতপ্রকাশ,জন্ম এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা,নানানমত দিচ্ছে বিভিন্ন মহল। দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমূহরে মতো ‘নব গঠিত রাজনৈতিক দল’ জাতীয় নাগরিক পার্টির কর্মকান্ড,রাজপথের আন্দোলন,সংগ্রামে জনআকাঙ্খার প্রতিফলন কতটুকু হয় তাই এখন দেখার বিষয়। রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের মতে, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনেকেই বাস্তবিক অর্থে জনপ্রত্যাশা,জনআকাঙ্খার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেনি, ঐসব রাজনৈতিক দল ঠিক যতটুকু তাদের নেতাদের নিজেদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন,ভাগ্যের উন্নতি ঘটিয়েছেন। এসব কারণেই রাজনৈতিক দল তাদের নেতা কর্মীদের উপর জন আস্থা, জনমানুষের বিশ্বাসের বড় সংকট ছিল। এমনি অবস্থায় গণঅভ্যূত্থানের চেতনায় ‘নতুন সংবিধান,নতুন বিপ্লব, দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র’উপহার দেয়ার লক্ষ্যে নব জন্ম নেয়া‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি হবে তা ‘ অনাগত ভবিষ্যতের’ উপর ছেড়ে দেয়াই শ্রেয়। কারণ ‘জন্ম হোক যথাতথা,কর্ম হোক ভাল’ সেই প্রত্যাশা করাটা সংগত এবং যৌক্তিক। এর আগেও দেশে বিভিন্ন সময়ে নানান আদর্শ সামনে নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্ম হলেও পরবর্তীতে সেসব নতুন নতুন দল জনগণকে নতুন কিছু দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব কারণে সেইসব দল পরিনামে নাম সর্বস্ব, ব্যক্তি সর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। নব গঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি সেই গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে জনপ্রত্যাশা জনআকাঙ্খা পূরণে অধিকতর সচেষ্ট,সজাগ,সর্তক থাকবে সেই প্রত্যাশাও করছি।
জুলাই অভ্যূত্থানে নের্তৃত্ব দেয়া সামনের সারির নেতাদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দলের ঘোষণাপত্র তুলে ধরেন। অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আত্মপ্রকাশ করেছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গণঅভ্যুত্থান থেকে জন্ম নেওয়া দলটির নেতারা ঘোষণা করেছেন, তারা অন্য কোনো দেশ নয়, তারা হবেন বাংলাদেশপন্থি। তাদের লক্ষ্য ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ তথা দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আর তা পূরণে নতুন সংবিধান প্রণয়নে সংসদের আগে গণপরিষদ নির্বাচন চান জুলাই গণঅভ্যুত্থানের তরুন প্রজন্মের নায়করা। মূলত: শেখ হাসিনার পতন ঘটানো গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের উদ্যোগে গঠিত এনসিপির ঘোষণাপত্রে এসব লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছে ইতিহাসের মেরূকরণ পাল্টে দেওয়া এ দল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগকে সার্থক রুপায়ন দিতে তারা বলেছেন, ভারতপন্থি, পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না।
সাতচল্লিশ, বায়ান্ন, একাত্তর এবং চব্বিশকে ধারণ করা বাংলাদেশপন্থি রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য চেয়ে সংসদের আগে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে এনসিপি। আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতারা বলেন, গণপরিষদে নতুন সংবিধান রচিত হবে। যার মাধ্যমে গড়ে উঠবে প্রত্যাশিত প্রজাতন্ত্র। যেখানে সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হবে। পরিবারতন্ত্র নয়, মেধা ও যোগ্যতায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। বাংলাদেশের ক্ষমতায় কে যাবে, তা ভারত নির্ধারণ করবে না। ভারতীয় ‘আধিপত্যবাদের’ বিরোধিতা করা এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান স্লোগান ছিল– ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’। মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ উচ্চারিত হয়েছে এর পরেই। আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অভাবনীয় পতন ঘটানো গণঅভ্যুত্থানের স্লোগান– ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’; ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ স্লোগানও দেওয়া হয় আত্মপ্রকাশ মঞ্চ থেকে।
মঞ্চের সামনে এবং পাশ^বর্তী আসাদ গেট থেকে খেজুর বাগান পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের সর্বত্রই ছিল ছোট ছোট জমায়েত, জটলা। এনসিপি নেতারা দাবি করেছেন, লাখো মানুষের জমায়েত হয়েছে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে। অন্যান্য রাজনৈতিক সমাবেশের সঙ্গে তুলনায় এনসিপি জমায়েতে নারীর অংশগ্রহণ ছিল বেশি। বিপুল সংখ্যক তরুণী, কিশোরী আসেন সমাবেশে। সপরিবার ও শিশুসন্তানদের নিয়ে সমাবেশে আসতে দেখা গেছে অনেককে। ঢাকার বাইরে থেকে হাজারো বাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির (জানাক) নেতাকর্মী আসেন দলের আত্মপ্রকাশ সমাবেশে। গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের দুই প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগেই গঠিত হয়েছে এনসিপি। এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারী আত্মপ্রকাশ করা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এর নেতা কর্মীরা এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন। জুমার নামাজের পর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। বিকেল ৩টার দিকে খ- খ- মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। আগতদের প্রায় সবাই ছিলেন তরুণ-তরুণী। বয়স্ক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে
পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান। এর পর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এর পর জুলাই শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। বক্তৃতা করেন গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের মা-বাবা এবং পরিবারের সদস্যরা। নতুন দলের নাম, আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব পদে আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করেন ৫ আগস্ট শহীদ ইসমাইল হোসেন রাব্বির বোন মিম আক্তার।
দলের আংশিক কমিটির নাম ঘোষণা করেন আখতার হোসেন। সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদিব যুগ্ম আহ্বায়ক, ডা. তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব, হাসনাত আবদুল্লাহ মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল), সারজিস আলম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল), মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুখ্য সমন্বয়কারী এবং আবদুল হান্নান মাসউদ জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পেয়েছেন। পরে অন্য যুগ্ম আহ্বায়ক, যুগ্ম সদস্য সচিব, সংগঠক, সমন্বয়কারীসহ ১৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সব শেষে বক্তৃতা করেন ৩ আগস্ট শহীদ মিনার থেকে শেখ হাসিনার পতনের ঐতিহাসিক এক দফার ঘোষক নাহিদ ইসলাম। উত্তাল জুলাইয়ের মতো মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারত ও পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির ঠাঁই হবে না। আমরা বাংলাদেশকে সামনে রেখে, জনগণের স্বার্থ সামনে রেখে রাষ্ট্র বিনির্মাণ করব। আগামীর কথা বলতে চাই। পেছনের ইতিহাস অতিক্রম করে সম্ভাবনার বাংলাদেশের কথা বলতে চাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘তুমি কে, আমি কে, বিকল্প, বিকল্প’ স্লোগানটি তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, বিকল্পের জায়গা থেকে এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ। আজকের মঞ্চ থেকে শপথ বাংলাদেশকে বিভাজিত করা যাবে না। এর পর দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের সূচনা বলে উল্লেখ করেন। গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সব আশঙ্কার অবসান ঘটানোর আহ্বান করা হয়। তিনি বলেন, দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য। আমাদের দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় গড়ে তোলা ও তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা করা হবে আমাদের রাজনীতির অগ্রাধিকার। এর মধ্য দিয়েই কেবল আমরা একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারব।
নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে জুলাই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচার সম্ভব হবে জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, একটি নতুন সংবিধানের বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানান তিনি। সামান্তা শারমিন বলেন, বাংলাদেশে গত ৫৩ বছরে একটি ‘বাইনারি’ ছিল। হয় একে, নয় ওকে বেছে নিতে হবে। দেশের মানুষ দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ চায়। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্ট দুঃশাসনের কবর রচনা করেছি। সংসদে কে যাবে, তা নির্ধারণ করবে জনতা। ক্ষমতার মসনদে কে বসবে, তা নির্ধারণ করবে এই ভূখ-ের মানুষ। বাংলাদেশের গণভবনে কে যাবে, তা ভারত থেকে ঠিক হবে না। সারজিস আলম বলেন, যারা বড় রাজনৈতিক দল, তারা যদি ছোট দলকে এগিয়ে যেতে না দেয়, তাহলে আবার স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে পারে। খুনি হাসিনাকে দেখে যেন আমরা সেই শিক্ষা নিতে পারি। পরিবারতন্ত্র এখানেই শেষ, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে আগামীর রাজনীতি।
নাসীরুদ্দীন বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন পর্যন্ত যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার ত্যাগের মূল্যায়ন করা হবে। বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে আগামীতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। আর যেন রক্তপাত না হয়– প্রত্যাশা জানিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ছয় বছর বয়সী শিশু জাবির ইব্রাহিমের বাবা নওশের আলী বলেন, আমার দেশ যেন এনসিপির কাছে নিরাপদ থাকে।
শহীদ মোবারকের মা ফরিদা বেগমের প্রত্যাশা, নতুন দল ভালো কিছুই করবে। তিনি বলেন, ‘আমাগো সন্তানেরা ঝাঁপায়ে পইড়া এ বিজয় নিয়ে আসছে। তাদের কারণে আমরা স্বাধীন। নাহিদ, সারজিসসহ যারা নতুন এই দলে আছে, সবাই যেন সুন্দরভাবে দেশটি পরিচালনা করতে পারে দোয়া করি। দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।’ শহীদ ইমাম হোসেনের ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, নাহিদ-আখতারদের ডাকে আন্দোলনে নেমেছিলাম। আহত-শহীদ পরিবার যেন ন্যায্য অধিকার পায়।
অবশ্য নতুন এই দলের সামনে অমিত সম্ভাবনা যেমন আছে তেমনি চ্যালেজ্ঞও কম নয়। তছাড়া তারুণ্য নির্ভর এই দলের তারুণ্যের শক্তি,মেধা,উদ্যমকে আরো শাণিত,গতিশীল করতে দরকার দলে অভিজ্ঞ,প্রাজ্ঞ,বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তির সমন্বয় সাধন,এখন পর্যন্ত তা তেমন দৃশ্যমান হয়নি। পাশাপাশি এই দলের নীতি,আদর্শ,এজেন্ডা সমূহ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া এবং তাদের সম্পৃক্ত করা দরকার। মহান মুক্তিযুদ্ধ,স্বাধীনতা, মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে দৃঢ় অঙ্গীকার দরকার। প্রতিহিংসার রাজনৈতিক ”র্চ্ছার পরিবর্তে সহনশীল হওয়া, ভিন্ন মত,ভিন্ন পথের অনুসারিদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নমনীয় হওয়া বাঞ্চনীয়। নতুন দলের কাছে প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশে দুর্নীতি থাকবে না। দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভিড়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সূচনা হচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ইতিবাচক ফলের প্রত্যাশা অনেকের। কারণ তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হোক তাই কাম্য। প্রত্যাশা করছি নতুন রাজনৈতিক দল জাতিকে বৈষম্যহীন.শোষণ বঞ্চনা মুক্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দেবে একই সঙ্গে তারা ন্যায়ের জন্য লড়াই করবে।
মোতাহার হোসেন: সাংবাদিক,সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম। ৩ রা মার্চ,২০২৫ ইং।