শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ৫ বৈশাখ ১৪৩২
 
শিরোনাম:


'টোকাই' স্রষ্টা রফিকুন নবী স্যারকে নিয়ে আমার কিছু কথা
মোঃ আফতাব আনোয়ার
প্রকাশ: সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫, ৩:৩৩ PM

১৯৭৮ সাল। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ফাইন আর্টস-এর বানিজ্য কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পুরান ঢাকার বংশাল থেকে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করি। সম্ভবতঃ জুন-জুলাই মাস হবে। সেদিনও যথারীতি আমার ক্লাসে আসতে দেরী হবে ভেবে কেমি ঘড়িটির দিকে বার বার তাকিয়ে দ্রুত হাঁটা শুরু করলাম। উল্লেখ্য আমাদের বানিজ্য কলা বিভাগের প্রধান ছিলেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। ঘড়ির কাঁটা যখন নয়টা ছুঁই ছুঁই ঠিক তখনই বাধ্য হলাম মৃদু বাতাসে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দ্রুত হাঁটতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ক্যাম্পাসের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত গোলাকৃতি পানিবিহীন পন্ডের ডানদিকে থাকা বৃষ্টি ভেজা পাকা সরু রাস্তায় আমরা পর পর তিন ব্যক্তি।  প্রথমজন কচ্ছপ গতিতে হেঁটে যাওয়া চারুকলা অনুষদের 'মালি' (নাম জানা নেই), মালির ঠিক পিছনে রফিকুন নবী স্যার, স্যারের পিছনে আমি। এমতাবস্থায় আমার হাঁটার গতি না থামিয়ে উপায় আছে? নিজের উপর রাগ হচ্ছিলো এই ভেবে যে,  কেন যে ডান দিক দিয়ে আসলাম। বাম দিক দিয়ে গেলেতো লেট মার্ক থেকে আজকে অন্তত রেহাই পেতে পারতাম, কিন্তু মালি ভদ্রলোকের কচ্ছপ গতির কারণে আমাকে এবং রনবী স্যারকেও থামতে হয়েছে। 

মালি ভদ্রলোক বুঝতে পারছে না প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী রনবী স্যারের উপস্থিতি, যদি বুঝতে পারতো তাহলে অবশ্যই স্যারকে ত্বরিত যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিত। রনবী স্যারও বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজে মন্থর গতিতে মালির পিছনে পিছনে হাঁটছেন। স্যারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমি সালামও দিয়েছি, তাতেও সাড়া মেলেনি। তাই স্যারও বুঝতে পারছে না আমার উপস্থিতি। আরেকটু ডানদিকে যাওয়ার পর যখন আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো স্যারের প্রতি, দেখলাম আনমনে হাসছেন। তখন সবকিছুর উত্তর পেয়ে গেলাম। অর্থাৎ ধুতি পরিহিত হিন্দু প্রবীণ মালি'র মধ্যে পেয়ে গেছেন পরের দিন বিচিত্রায় প্রকাশের 'টোকাই' বিষয়বস্তু। যা বৃষ্টিতে ভিজে মালির কচ্ছপ গতিকে নষ্ট না করে তাকে নিয়ে সৃষ্ট 'টোকাই' বিষয়বস্তুর পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতেই স্যারের এই সৃষ্টিশীল হাসি। এভাবেই আমি দেখেছি 'টোকাই' স্রষ্টা রফিকুন নবী স্যারকে। খ্যাতনামা চিত্রকর ও কার্টুনিস্টকে। টোকাই নামক কার্টুন চরিত্রটি তার সাড়াজাগানো এক অনবদ্য সৃষ্টি।
পুলিশ অফিসার বাবার বদলির চাকুরির সুবাদে রফিকুন নবী স্যারের শৈশব ও কৈশোরকাল কেটেছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়৷ পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝিতে তাঁরা ঢাকায় স্থায়ী হন। পুরান ঢাকার নারিন্দাতে প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী স্যারের কৈশোর ও যৌবনের অনেকটা সময় কেটেছে। ১৯৫০-এর মাঝামাঝিতে স্কুলে ভর্তি হন তিনি৷ পুরান ঢাকার পোগোজ হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে ১৯৫৯ সালে ঢাকার সরকারি আর্ট কলেজে ভর্তি হন তিনি৷ এখানে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন স্যার, কামরুল হাসান স্যার সহ খ্যাতিমান দিকপালের সান্নিধ্যে থেকে পড়াশোনা করেছেন৷ 
১৯৬২ সালে তিনি এশিয়া ফাউন্ডেশনের বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে স্নাতক পাশ করেন৷ ১৯৬৪ সালে ঢাকা আর্ট কলেজের শিক্ষক হিসেবে জীবন শুরু করেন৷ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছিলেন তিনি। 
১৯৭৩ সালে গ্রীক সরকারের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন বৃত্তি নিয়ে গ্রীস চলে যান। প্রিন্ট মেকিং-এর ওপর ডিগ্রী নিয়ে ১৯৭৬ সালে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে আসেন। চারুকলার শিক্ষক হিসেবে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপকের পদে অধিষ্ঠিত হন৷

আমি চারুকলায় ভর্তি হই ১৯৭৪ সালে। তখন আর্ট কলেজ প্রতিষ্ঠাতা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন স্যার ছিলেন। যা ছিলো আমার নিকট পরম সৌভাগ্যের।তাঁর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি আর্ট কলেজ ক্যাম্পাসকে করে রাখতো প্রাণবন্ত। অধ্যক্ষ ছিলেন সৈয়দ সফিকুল আমিন। শিক্ষক হিসেবে ছিলেন কামরুল হাসান, শফিউদ্দিন আহমেদ, কাইয়ুম চৌধুরী, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, গোপেশ মালাকার, গোলাম মোস্তফা,  হাসেম খান, আমিনুল হক, আনোয়ারুল হক, আবুল বারক আলভি, হামিদুজ্জামান খান, মোহাম্মদ কিবরিয়া, মুর্তজা বশীর, আব্দুর রাজ্জাক, জনাবুল ইসলাম, সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, মনিরুল ইসলাম, কালিদাস কর্মকার, শহীদ কবির, মাহমুদুল হক, মাহবুবুল আমিন, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ। রফিকুন নবী স্যারকে পাই ১৯৭৬ সাল থেকে।
১৯৭৮ সালের ১৭ মে 'টোকাই' শিরোনামে প্রথম স্ট্রিপ কার্টুনটি ছাপা হয় বিচিত্রার প্রথম সংখ্যায়। স্ট্রিপ কার্টুন হল একাধিক চিত্রের ধারাবাহিকতায় গঠিত এক ধরনের ভিজ্যুয়াল আর্ট ফর্ম। 
রফিকুন নবী স্যার তাঁর সহজ সরল ভাষায় 'টোকাই' এর মাধ্যমে তিনি হাস্যরসাত্মকভাবে সমাজের অগণিত অসংগতিগুলো স্বল্প বাক্যব্যয়ে তুলে ধরে 'রনবী' নামটিকে পাহাড় সমান উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে তুমুল জনপ্রিয় করে তুলেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ফাইন আর্টস-এর ড্রইং ও পেইন্টিং বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন এই ইনস্টিটিউটের পরিচালক। 

টোকাইয়ের শারীরিক বৈশিষ্টের মধ্যে ছিলো মাথায় টাক, কখনও গুটিকয়েক চুল, মোটা পেটে বাঁধা
খাটো চেক লুঙ্গি ৷ কখনো কাঁধে বস্তা৷ এরকম অভিনব অবয়বে আবির্ভূত হতেন' 'রনবী'র সৃষ্ট 'টোকাই' চরিত্রটি। যা ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিতভাবে আমাদের মাঝে অনুপস্থিত আছেন। 
শিল্পকলায় তার অনন্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও চারুকলায় জাতীয় সম্মাননা শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার, বুক-কভার ডিজাইনের জন্য ১৩ বার ন্যাশনাল একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন৷ ২০০৮ সালে তার আঁকা 'খরা' শীর্ষক ছবির জন্য ৮০টি দেশের ৩০০ জন চিত্রশিল্পীর মধ্যে 'এক্সিলেন্ট আর্টিস্টস অব দ্য ওয়ার্ল্ড' হিসেবে মনোনীত হন৷ তিনি ২০১৫ সালের জন্য শেলটেক কর্তৃক প্রদত্ত "শেলটেক পদক" লাভ করেন।

০৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখে দুই বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান ও রফিকুন নবীকে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক নিযুক্ত করায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ কর্তৃক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, দেশেই এই দুই বরেণ্য শিল্পীকে এমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে সম্মানিত করতে পেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই সম্মানিত হয়েছে। তিনি তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তাঁরা জীবনব্যাপী শিল্পসাধনা ও শিক্ষকতায় দেশের শিল্পকলাকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি বহু কৃতী ছাত্র-ছাত্রীকে–শিল্পী তৈরিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁরা দুজন দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে যেমন বিপুল পরিচিত ও সম্মানিত, তাতে এমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে তাঁদের মনোনীত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো দ্বিধা-সংকটে পড়তে হয়নি। 

তাহলে ছত্রিশ. জুলাই. চব্বিশ পরবর্তী সময়ে কেন দ্বিধা-সংকটে পড়তে হল? 
গত সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ সোমবার দিন চারুকলা অনুষদের এক অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে যোগ দিতে এসে, অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার আগেই এমেরিটাস অধ্যাপক ও চিত্রশিল্পী রফিকুন নবীর (রনবী) ফিরে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন তোলপাড় চলছে? বর্তমানে স্যার ৮১ বছরে পদার্পণ করেছেন। আমি বলব স্যারের 'রনবী' নামটিই আমাদের দেশের জন্য একটি পরিপূর্ণ  ইনস্টিটিউট। এই নামটিকে কেউ কলুষিত করার দুঃসাহস দেখাতে পারে না।

কি এমন ঘটনা ঘটলো যে শিল্পকলার একজন  মহান দিকপালকে চারুকলার বাইরের কিছু লোকজন তাঁকে অতিথি করা নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছেন। আমি বলবো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা নেহায়েতই পায়ে পা  দিয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন।

যে চারুকলা অনুষদের ইট, বালু, সিমেন্ট ও মৃত্তিকায় তাঁর আপাদমস্তক স্নাত, সেই গুণী মানুষটি তাঁরই প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান চারুকলা অনুষদেই অদৃশ্য শক্তির নিকট পরাভূত হয়ে মঞ্চে উঠতে না পারার গ্লানি নিয়ে ফিরে যেতে হলো বাড়ি অভিমূখে। তাঁর অপমানের গ্লানি সইতে না পেরে শিল্পাচার্য পুত্র ময়নুল আবেদিনও অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলেন। আমার প্রশ্ন মঞ্চে আর কে কে উপস্থিত ছিলেন? তাঁরা যদি স্যারের শুভাকাঙ্ক্ষী হতেন তাহলে নিশ্চয়ই তাঁরা এই অপমানসূচক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত জানার চেষ্টা করতেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এই ঘটনার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পাওয়া যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত থাকবে। এ রকম উদ্যোগী মনোভাবাপন্ন কাউকেতো দেখা গেলো না। এ থেকে কি আমাদের অন্য কিছু ভাবার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় না? এরকম খারাপ দৃষ্টান্ত কিন্তু শুধুমাত্র রফিকুন নবী স্যারের জন্যই নয়,  আমি বলবো গুটিকতক জেলাস মাইন্ডেড লোকের জন্য যে ন্যাক্কারজনক ঘটনাটির জন্ম হল, তা কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ক্রমেই ধ্বংসাত্মক রূপে আবির্ভূত হবে  আজকের মঞ্চে নিরাপদে উপবিষ্ট  থাকা অতিথিদের জন্যও। আজকের এই নিন্দনীয় ঘটনাটি তাদের অস্তিত্বও বিপন্ন হওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে আমি মনে করি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ছাড় দেন ছেড়ে দেন না।
এ ব্যাপারে রফিকুন নবী স্যারের ভাষ্যমতে, "ব্যাপারটা একটু অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হচ্ছে। আমাকে মঞ্চে তোলা যাবে না, এটা শোনার পর আমি সেখান থেকে চলে আসি।" স্যার সহজ সরল মানুষ তাইতো স্যারের সহজ সরল অনুভূতির সাদামাটা প্রকাশ।

আজকের (২৩/০২/২৫) চ্যানেল আই তৃতীয় মাত্রায় ড. সেলিম জাহান বর্তমান সময়কে নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, "সহিংসতা এখন ভাষায় ও সন্ত্রাস এখন সংস্কৃতিতে  পরিণত হয়েছে।" এরকম প্রবণতা এখন সর্বত্রই বিরাজমান। এটা অনেকটা মব জাস্টিসের পর্যায়ে পড়ে বলে আমি মনে করি। এখানে স্যারকে মানসিকভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে। যদি মঞ্চে উঠতেন তাহলে হয়তো শারীরিকভাবেও নিঃগৃহীত হতে হত। স্যারের বহু ছাত্র-ছাত্রী আজ প্রতিষ্ঠিত চিত্রশিল্পী এবং চারুকলা অনুষদের শিক্ষক। কিন্তু স্যারের এমন দুঃসময়ে  কাউন্টার দেয়ার মতো কোনো হিতাকাঙ্খীকে দেখলাম না, যা সত্যিই হৃদয়বিদারক একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে আগামীর শিল্পকলার ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
পরিশেষে বলবো শিল্পকলায় বাংলাদেশের গুটিকতক বিখ্যাত গুণী ব্যক্তির  মধ্যে অন্যতম এমন অশীতিপর এক সম্পদব্যক্তির সঙ্গে যে আচরণ প্রত্যক্ষ করলাম, তা অতি জঘন্য, নিন্দনীয়, এক বুক হতাশার, ঘৃণ্য, ভয়াবহ, অমানবিক, দুঃখজনক, করুণ, বেদনাদায়ক, যন্ত্রনাদায়ক, ভয়ংকর, ভয়াবহ, নিষ্ঠুর। 
নিরপেক্ষ একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে এ ঘটনার সু্ষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। ভবিষ্যৎ গুণীদের নিরাপদ জীবন ও যথাযথ মূল্যায়নের মানসে কারা কারা এ ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড, তাদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।

লেখক: আর্টিস্ট/সহকারী পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত), বিআরডিবি, ঢাকা। 
ইমেইল: anwaraftab611@gmail.com







আরও খবর


 সর্বশেষ সংবাদ

জার্মান বাংলা অ্যাসোসিয়েশনের উদ‍্যোগে বৈশাখ বরণ এবং আলোচনা
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ছাদ বেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে নকল সরবরাহ, যুবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
কুমিল্লা স্টেশন ক্লাবে চলছে সাত দিনব্যাপী বিসিক বৈশাখী মেলা
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাসুদুর রহমানের মাদ্রিদ দূতাবাসে প্রথম কর্ম দিবসে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়
বার্সেলোনার পাঁচ তারকা হোটেলে বৈশাখী অনুষ্ঠান উজ্জাপিত
আরো খবর ⇒


 সর্বাধিক পঠিত

বজ্রপাতে কালীগঞ্জে কৃষকের মৃত্যু
মানবতার অধিকার আদায়ে সুফি ওলামাদের ভূমিকা পালনের আহবান
শেরপুরে হত্যা মামলার আসামী হলেই লুটপাট হয় বাড়ি ঘর
হাকালুকি হাওরে ধান তোলায় ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণী
বাচসাসকে জাতীয়তাবাদী ব্যবসায়ী দলের শুভেচ্ছা
প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com