আর মাত্র ১ দিন পর পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। টুর্নামেন্টে পা রাখার আগেই ব্যাপক কাঁটাছেড়ার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। রিকি পন্টিং ও ডি ভিলিয়ার্সের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা কোনো হিসাবেই রাখেননি টাইগারদের। তবে এসব নিয়ে একদমই চিন্তিত নন কাপ্তান নাজমুল হোসেন শান্ত। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই টুর্নামেন্টে যাওয়ার আশাবাদ জানিয়েছেন তিনি। মেগা এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
মূল পর্বের আগে আজ সোমবার পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্ত ব্রিগেড। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টাইগাররা সর্বশেষ ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলেছে। এরপর কুড়ি কুড়ির বিপিএল খেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দিয়েছে ক্রিকেটাররা।
যে কোনো আইসিসি প্রতিযোগিতার আগে অংশগ্রহণকারী দলগুলো সাধারণত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে থাকে। গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে না, এমন দলের বিরুদ্ধেই সাধারণত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা হয়। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এবার অনেক দেশই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে না। ভারত নিজেদের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলে প্রস্তুতি শেষ করেছে। অন্যদিকে, ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। এই সিরিজ শেষে সরাসরি মূলপর্বে নেমে যাবেন বাবর আজমরা।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ কিংবা আফগানিস্তানের মতো দলগুলো সে অর্থে মাঠের প্রস্তুতির সুযোগ পায়নি। বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলেছে গত ডিসেম্বরে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামার আগে তারা একটি করে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। মূল পর্বে ভালো করতে প্রস্তুতি ম্যাচকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছে টাইগাররা।
বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে দুবাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে পরশু তানজিম হাসান সাকিব বলেছেন, ‘আমরা রাতের ফ্লাইটে (গত বুধবার) দুবাই এসে পরদিন বিশ্রাম নিয়েছি, তাই আমাদের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ভালো হয়েছে। অনুশীলনের পর শরীর আরও চাঙা লাগছে।’ আজকের প্রস্তুতি ম্যাচের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে মূল ম্যাচের প্রস্তুতি নেব। উইকেট সম্পর্কে যত বেশি তথ্য নেওয়া যায়, কোন বল এখানে ভালো কাজ করে, কোন লেন্থে ব্যাটারদের কষ্ট হয়—এসব বোঝার চেষ্টা করব।’
বাংলাদেশ স্কোয়াড: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), পারভেজ হোসেন ইমন, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা এবং তাসকিন আহমেদ।
পাকিস্তান শাহিনস স্কোয়াড: মুহাম্মদ হারিস (অধিনায়ক), আমের জামাল, আব্দুল সামাদ, আলী রাজা, আজান আওয়াইস, মোহাম্মদ মুসা, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, মুবাসির খান, ওমাইর বিন ইউসুফ, সাহেবজাদা ফারহান, সুফিয়ান মুকিম এবং উসামা মীর।