প্রকাশ: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৯ PM
জার্মানির মিউনিখে মিছিলের মধ্যে গাড়িচাপায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিউনিখ শহরের দাহাউয়ের স্ত্রাসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স।
পুলিশ বলছে, গাড়িটির চালক ২৪ বছর বয়সী এক আফগান আশ্রয়প্রার্থী। তার নাম ফরহাদ বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। তাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি আগে ‘চরমপন্থী’ ছিলেন —এমন ইঙ্গিত পাওয়ার কারণে তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা।
জার্মানিতে ধারাবাহিকভাবে মারাত্মক কয়েকটি হামলার পর এই ঘটনা ঘটল, যেখানে কিছু ঘটনা অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, চালককে ‘শাস্তি দিতে হবে এবং তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।’ মিউনিখের পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কেন্দ্রস্থল ম্যাক্সভোরস্টাডট এলাকায় জার্মানির শ্রমিক সংগঠন ‘ভেরডি’ একটি মিছিল নিয়ে রাজপথ অতিক্রম করছিল। প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মিছিলটির পেছনে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের একটি গাড়ি ছিল। একপর্যায়ে আচমকা একটি গাড়ি পুলিশের গাড়িকে পাশ কাটিয়ে পেছন থেকে শ্রমিকদের মিছিলে ঢুকে পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সসহ বিশ্ব নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলন ঘিরে যখন জোর প্রস্তুতি চলছে, ঠিক তার আগ মুহূর্তে এমন ঘটনা ঘটল। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন স্থল থেকে মাত্র ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার (১ মাইল) দূরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। নিরাপত্তা সম্মেলন ও আগামী সপ্তাহে জার্মানির জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশজুড়ে আগেই নিরাপত্তা জোরদার করেছে দেশটির সরকার।
জানা গেছে, ঘটনার পরই শহরের কেন্দ্রীয় ট্রেন স্টেশনের কাছে বড় পরিসরে পুলিশ অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে গাড়ির চালককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাকে আর ‘হুমকি’ বলে মনে করা হচ্ছে না।
ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়ে স্থানীয় একজন সাংবাদিক এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, একজন ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে আছে ও একজন যুবককে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। লোকেরা মাটিতে বসে আর্তনাদ করছে।