প্রকাশ: রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:২৮ PM
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা ও ভারতের স্বার্থ রক্ষার রাজনীতি যারা করবেন তাদের অবস্থা ধানমন্ডি ৩২ এর মতো হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি হতে হবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের যে স্পিরিট সেটিকে ধারণ করে। আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আত্মমর্যাদা ও জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে রাজনীতি করতে হবে।
তিনি আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পুনর্বাসনের রাজনীতি বাংলাদেশে আর ওয়ার্ক করবে না। সময়টা বদলে গেছে। এটা ভারতকে বুঝতে হবে। যত তারাতারি বুঝবে, তত তারাতারি বাংলাদেশের মানুষের সাথে তাদের সম্পর্কটা ভালো হবে, উন্নত হবে। তিনি আরও বলেন, যে লেভেলের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তাতে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ খুন হবে। কেউ খুন হয়নি। ২০১৩-১৪ সাল থেকে ২০২১-২২ সাল পর্যন্ত ৪৫ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট মানি আসার কথা, কিন্তু এই টাকাটা দেশে আসেনি। এই টাকাটা পাচার হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে যে অবস্থায় রেখে গেছে, দেশে দুর্ভিক্ষ ও গৃহযুদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। দেশকে সেই দুর্ভিক্ষ ও গৃহযুদ্ধের হাত থেকে বাঁচিয়েছে অন্তবর্তী সরকার। এটাই অন্তবর্তী সরকারের অবদান। সরকারের এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগের আমলে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে শুধু ব্যাংক থেকে। কিন্তু এই লুটটা এখন বন্ধ আছে। অন্তবর্তী সরকারের গত ৬ মাসে ব্যাংক থেকে কোন টাকা পাচার হয়নি। আমাদের রেমিট্যান্স বাড়ছে। রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়ছে। রপ্তানি বাড়ছে, বিদেশি বিনিয়োগ আসছে।
তিনি বলেন, দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যেই দেশে নির্বাচন হওয়া উচিত। এর বাইরে সময় কমবেশি করতে চাইলে রাজনৈতিক দল, ছাত্র-জনতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটির মতামত নিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে করতে হবে। মতবিনিময় সভায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন, শেরপুর জেলা এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী, সদস্য সচিব মুকসিতুর রহমান হীরা, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলসহ জেলা কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।