বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ ১২ চৈত্র ১৪৩১
 
শিরোনাম:


নির্বাচনে যে কারণে কেজরিওয়ালের ভরাডুবি!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:২১ PM

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পর বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়ে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। 
তবে এবারের নির্বাচনে চরম ভরাডুবি ঘটেছে দিল্লির দুবারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালে আম আদমি পার্টির (আপ)। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬২টি আসন জিতে দিল্লির মসনদে বসা কেজরিওয়ালের দল এবারের নির্বাচনে পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন।

যার ফলে এমন ভরাডুবির নেপথ্যের কারণ নিয়ে চলছে নানা রকম চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে অনেক বিশ্লেষকই ধারণা করছেন, ভোটের আগে আম আদমি পার্টির দলত্যাগী আট বিধায়কই বড় ভূমিকা রেখেছে এই ভরাডুবির নেপথ্যে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।  
জানা যায়, দিল্লি ভোটের আগেই একসঙ্গে দল ছেড়েছিলেন আটজন আপ বিধায়ক। তারা সবাই যোগ দেন বিজেপিতে। আপের দাবি ছিল, টিকিট না পেয়েই দল ছেড়েছেন আট জন।  তবে তাদের দলত্যাগকে খুব একটা পাত্তা দিতে নারাজ ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। যদিও ভোটের ফল অনুযায়ী, ওই আট আসনেই ধরাশায়ী হয়েছে আপ। 

বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে আপ প্রার্থীদের। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে, দলত্যাগী বিধায়কেরাই কি ‘ফ্যাক্টর’ হলেন ওই আট আসনের ফলাফলের নেপথ্যে? 
দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র প্রবীণ শংকর কাপুর বলেন, আপত্যাগী বিধায়কেরা এক সময় কেজরিওয়ালের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। 
কিন্তু পরে তারা বুঝেছেন, এখন আর কেজরিওয়াল সেই ‘আম আদমি’ (সাধারণ মানুষ) নেই, যা তিনি প্রথমে দাবি করতেন। ফলাফল থেকেই স্পষ্ট, বিরোধী আন্দোলন ছিল কেজরিওয়ালের বিপক্ষে। 

তবে তিনি তা মানেননি। বরং বিরোধী আন্দোলনের জন্য দলেরই কয়েকজন বিধায়ককেই দায়ী করেছিলেন এবং তাদের বঞ্চিত করেন। গত ৩১ জানুয়ারি, দিল্লি ভোটের ঠিক পাঁচ দিন আগে একসঙ্গে আট বিধায়ক আপ ছাড়েন।  আপ আহ্বায়ক কেজরিওয়ালকে চিঠি লিখে দলের সদস্যপদ ছাড়ার কথা জানান তারা। কেন তারা দল ছাড়লেন, তা-ও চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন বিধায়কেরা।  দলত্যাগী বিধায়ক বন্দনা গৌর জানিয়েছিলেন, কেজরীওয়াল এবং আপের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলায় এই সিদ্ধান্ত। বন্দনা ছাড়াও আপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আদর্শ নগরের বিধায়ক পবন শর্মা, মেহরৌলীর বিধায়ক নরেশ যাদব, মাদিপুরের বিধায়ক গিরিশ সোনি, ত্রিলোকপুরীর বিধায়ক রোহিত কুমার, জনকপুরীর বিধায়ক রাজেশ ঋষি, কস্তুরবা নগরের বিধায়ক মদন লাল এবং বিজিওসানের বিধায়ক বিএস জুন।

আট জনের মধ্যে কেজরিওয়াল এবার সাত বিধায়ককে পুনরায় ভোটে টিকিট না দিয়ে নতুন মুখ এনেছিলেন। কিন্তু তাতেও সেই আট আসনে জয় হাসিল করতে পারেনি আপ। 
আদর্শনগর থেকে জয় পান বিজেপি প্রার্থী রাজকুমার ভাটিয়া। ত্রিলোকপুরীও গিয়েছে বিজেপির দখলে। জয় পেয়েছেন রবি কান্ত। 
এছাড়াও মাদিপুর থেকে কৈলাস গাঙ্গওয়াল, কস্তুরবা নগর থেকে নীরজ বসোয়া, জনকপুরী থেকে আশিস সুদ, বিজিওসান থেকে কৈলাস গহলৌত এবং মেহরৌলী থেকে জিতেছেন গজেন্দ্র সিংহ যাদব। তারা প্রত্যেকেই বিজেপির টিকিটে লড়ে জয় পেয়েছেন।  দিল্লিতে একলা চলো নীতিতে হেঁটে মাশুল দিতে হয়েছে আপকে। ভোটগণনার পর দেখা যাচ্ছে, কেজরিওয়ারের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসেরই মাশুল গুনতে হচ্ছে আপকে। ২২টি আসন আপের দখলে। বিজেপি পেল ৪৮টি আসন। শূন্য হাতে কংগ্রেস।







আরও খবর


 সর্বশেষ সংবাদ

স্বাধীনতা দিবসে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির শ্রদ্ধা
মেসিকে ছাড়াই ব্রাজিলকে এক হালি গোল দিল আর্জেন্টিনা
টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে পারলেই রেল লাভের মুখ দেখবে: রেলপথ উপদেষ্টা
সংস্কার ও বিচারবিহীন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না: নাহিদ
বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আরো খবর ⇒


 সর্বাধিক পঠিত

"ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে সংহতি এবং গাজার উপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ"
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
ত্রিশালে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল
যুবদলের পরিচয় দিয়ে সিরিয়াল চাঁদাবাজি করা হাফিজ ওরফে ময়লা হাফিজ নামে এক চাঁদাবাজ গ্রেফতার
সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টয়লেটের পাইপ থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com