প্রকাশ: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩৭ PM
১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে বন্দি বিনিময়ের পঞ্চম ধাপে তিনজন ইসরাইলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এসব ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
হামাসের মিডিয়া দফতর জানায়, ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে দেশের (ইসরায়েল) বিভিন্ন কারাগার থেকে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়া ১৮৩ ফিলিস্তিনির মধ্যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর গ্রেফতার হয়েছিলেন ১১১ জন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাতজন বন্দিকে নির্বাসন দেওয়া হবে। দীর্ঘ সাজাপ্রাপ্ত ২০ জন বন্দি যাদের মূলত গাজা থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৪২ জন এবং জেরুজালেমে তিনজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
মুক্তিপ্রাপ্ত সাতজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে রামাল্লায় পৌঁছানোর পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি। সংস্থাটির প্রধান আবদুল্লাহ আল-জাগারি বলেছেন, আজ মুক্তিপ্রাপ্ত সকল বন্দির চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন। কারণ গত কয়েক মাস ধরে তাদের উপর যে বর্বরতা চালানো হয়েছে; তার ফলে তাদের চিকিৎসা করতে হয়েছে। সাতজনকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি নাগরিকরা হলেন এলি শারাবি (৫২), ওর লেভি (৩৪) ও ওহাদ বেন আমি (৫৬)। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে হামলার সময় বেন আমি ও শারাবিকে ইসরায়েলের কিবুৎজ বেরি এলাকা থেকে আটক করা হয়। আর লেভিকে আটক করা হয় নোভা সঙ্গীত উৎসব থেকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে পঞ্চম দফায় বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হল। এর মধ্যদিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ২১ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।