প্রকাশ: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৬ PM
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে সবার আগে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।’ তিনি বলেন, ‘শহীদ ও আহতদের সেবায় সরকারের আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, বিশেষত যাদের জন্য আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।’
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ফেনী শহরের ট্রাংক রোডস্থ একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহতদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. শফিকুর রহমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন এবং সবার আগে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করা উচিত, কারণ তাদের আত্মত্যাগ কখনও ভুলে যাওয়ার মতো নয়।’

এ সময় তিনি উপস্থিত শহীদ পরিবার, আন্দোলনে আহত ব্যক্তি ও দলের কর্মীদের কাছে জানতে চান, ‘ফেনীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারি রয়েছে কি না?’ সবাই একবাক্যে ‘হ্যাঁ’ উত্তর দেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি চাঁদাবাজি ও দখলদারি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই কার্যকলাপ বন্ধ করা উচিত, কারণ এর মাধ্যমে শহীদ ও আহতদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হচ্ছে।’ ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি ও দুঃশাসন মুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সকল নাগরিকের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’ তিনি দাবি করেন, জামায়াতে ইসলামী কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হামলা হয়েছে এবং বহু নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামী’র আমির মাওলানা মুফতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি এটিএম মাসুদ, জেলা জামায়াতে ইসলামী’র সাবেক আমির অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, শহীদ মাসুদের ভাই মঞ্জুরুল হাসান, আহত ছাত্র আবু হানিফ হেলাল। এর আগে, ডা. শফিকুর রহমান ফেনী শহরের সুলতানপুর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেন এবং শহীদ ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবনের কবর জিয়ারত করেন। তিনি ফেনীর পরশুরাম এলাকার বল্লারমুখা বাঁধ পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময় করেন।