প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১, ৬:৩৬ পিএম |
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রী কে ৩ সন্তান সহ ঘরে অবরুদ্ধ করে তার উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ও ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ জামাল উদ্দিন ভূইয়া(৪২) ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। জামাল চেয়ারম্যান ইউপির ছতুরপুর গ্রামের বাড়ীর একই এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ভুক্তভোগী রেহেনা বেগম বৃহস্পতিবার(২৯ জুলাই) এই বিষয়ে অত্র উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শী ও ভিডিও ক্লিপ থেকে জানা গেছে, জামাল চেয়ারম্যান এর ছতুরপুর গ্রামের বাড়ির পাশে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী রেহেনা বেগমের স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বিদেশ থাকেন। এই সুযোগে অত্র এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জামাল উদ্দিন ভূইয়া ও তার বাহিনী রেহেনা বেগম কে ঘরে বাইরে নানা সময়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে আসছেন। রেহেনা বেগম কে নিজ বসত ঘরে তালাবদ্ধ রেখে অবরুদ্ধ করে বাড়িতে যেন কেউ আসতে না পারে বাড়ির চারপাশে চেয়ারম্যান এর লোকজন পাহারায় থাকেন। সর্বশেষ ২৫ জুলাই রবিবার রাত ১২ টায় ঘরের বাহিরে মোরগ মুরগীর ডাকাডাকি শুনে রেহেনা বেগম ঘরের বাহিরে আসলে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গ তাকে জাপটে ধরে মাটিতে শুইয়ে ফেলে তার স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে। এসময় গৃহবধূ রেহানা কে ধর্ষনের চেষ্টা চালান। তখন রেহানার চিৎকার চেচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে। তখন চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন উপস্থিত সবার সামনে হুমকি দিয়ে বলেন যদি এই ঘটনা কাউকে জানানো হয় বা থানায় মামলা করে তাহলে রেহানা কে প্রানে মেরে ফেলা হবে। বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ কে জানালেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং বিজয়নগর থানায় অবহিত করেন ভোক্তভোগী রেহেনা বেগম। ভোক্তভোগী রেহেনা বেগম বলেন, আজ ৬ মাস যাবত জামাল চেয়ারম্যান আমার উপর এই অত্যাচার করছেন আমি কোন বিচার পাচ্ছি না। আমার বসত ঘরে রাতের বেলা টিন কেটে প্রবেশের চেষ্টা করে। চেয়ারম্যান একজন মাদক ব্যবসায়ী ও নারী লোভী। সব সময় মাদক সেবন করে মাতাল অবস্থায় আমার এবং আমার ৩ সন্তানের উপর অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন করছে। তিনি আরো বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে চেয়ারম্যান এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ মির্জা হাসান বলেন, ঐ ভদ্র মহিলা রেহেনা বেগম আমাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন, তিনি আরো বলেন এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম ইয়াসির আরাফাত জনালেন, আমার কাছে নয় এই বিষয়টি থানা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।