শিরোনাম: |
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মেয়েকে চিকিৎসা করাতে ঢাকায় এসেছিলেন পারভীন বেগম (৪০)। তবে মেয়েকে সুস্থ করে দেশে ফিরে যাওয়া হলো না তার। রাজধানীর গুলিস্তানে অসুস্থ মেয়ের সামনেই ঘাতক বাস তার জীবন প্রদীপ কেড়ে নিয়েছে। অপরদিকে অসুস্থ মেয়ে সুরাইয়া আক্ষেপ করে নিজেকেই দোষারোপ করছেন। চিকিৎসার জন্য তাকে (সুমাইয়া) নিয়ে ঢাকায় না এলে মাকে হারাতে হতো না বলে বিলাপ করছিলেন। গতকাল রবিবার দুপুর সোয়া একটার দিকে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাস দুটিকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তা পার হওয়ার সময় বাস দুটি ওই নারীকে চাপা দেয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মেয়ে সুরাইয়া বলেন, আমাদের বাড়ী মুন্সীগঞ্জে। আমি অসুস্থ। ডাক্তার দেখাতে মায়ের সঙ্গে আজ মুন্সীগঞ্জ থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এসেছিলাম। ফেরার পথে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে আমি আর মা রাস্তা পার হচ্ছিলাম। এসময় দুই পাশ থেকে দুটি বাস মাকে চাপা দেয়। ডাক্তার দেখাতে না এলে আজ আমার মাকে হারাতাম না। রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী হিমু বলেন, কে কার আগে যাবে তা নিয়ে পরিবহনগুলো সবসময় প্রতিযোগিতা করে। চোখের সামনে আজ একজন নারী নিহত হলেন। দুপুরে আমরাই তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসি। গাড়ি দুটিকে আমরা পুলিশে দিয়েছি। বাস দুটি হলো এন মল্লিক পরিবহন, ঢাকা মেট্রো ব-১১-৬৪৮১ এবং ভাগ্যকূল পরিবহন লিমিটেডের আরাম, ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৭৪৭১। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মইন উদ্দিন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসি। নিহতের স্বজনদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। গিয়ে দেখতে হবে এটি শাহবাগ থানা নাকি পল্টন থানায়। বাস দুটি আটক রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। নিহতের মরদেহ মর্গে রাখা আছে।