শিরোনাম: |
ডেস্ক রিপোর্ট :
কথা ছিল প্রতি সপ্তাহে মিয়ানমারে ফিরে যাবে দেড় হাজার রোহিঙ্গা। সে হিসেবে চুক্তির দুই বছরের মধ্যে ফিরে যাবে সবাই। কিন্তু তিন বছর পরও ফেরেনি একজনও। এ অবস্থায় নতুন করে করণীয় ঠিক করতে আজ মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি বসছে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক। চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এ বৈঠক নিয়ে আশাবাদী কূটনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী বর্ষার আগেই শুরু করতে হবে প্রত্যাবর্তন। ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ শুরুর ৩ মাসের মাথায় মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে হয় দু’দেশের চুক্তি। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়ার কথা রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া। কাগজপত্র যাচাই শেষে ওই বছরের ১৫ নভেম্বর এবং ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট দুই দফা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরও শুরু হয়নি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো। এখন পর্যন্ত ৬ দফায় মিয়ানমারের কাছে ৮ লাখ ৩৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৪৬ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা ফেরত পাঠালেও সে তালিকায় এক পরিবারের একজন আছে তো, অন্যজন নেই। এ অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বৈঠকে মধ্যস্থতা করছে চীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বৈঠকটা যদি গতানুগতিক আগের মতো হয়- তখন স্বাভাবিকভাবে মিয়ানমার ও চীনের ওপর আন্তর্জাতিক প্রেসার বাড়বে। আমাদের এখানে দেখার বিষয়, এই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত আসে। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, চীন যদি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমাদের রোডম্যাপে সঙ্গী হয়। তারা সময় নিক। কিন্তু তিন বছরের মধ্যে তাদের ফিরে যেতে হবে।