প্রকাশ: শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৫৪ পিএম |
সুনামগঞ্জে বিরল প্রজাতির হিংস্র এক বন বিড়ালের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল ৪ গ্রামের মানুষ। অবশেষ অনেক চেষ্টার পর ফাঁদ পেতে সুকৌশলে হিংস্র এই বন বিড়ালটি আটক করা সম্ভব হয়েছে। বন বিড়ালটির মুখ দেখতে অনেকটা ইদুরের মতো। তার গায়ে লম্বা কালো দাগ আছে। লেজ প্রায় ২ফুট লম্বা। মুখের ভিতরে রয়েছে লম্বা ধারালো দাঁত। যা দিয়ে এই বন বিড়ালটি সহজেই বিভিন্ন পাখি হত্যা করে খেতে পারে। তার দুটি চোখ লাল রংঙ্গের। রেগে গেলে চোখ দিয়ে মনে হয় আগুন ঝড়ে। রাতের বেলায় কেউ এই বন বিড়ালটিকে দেখলে ভয়ে আতঁকে উঠবে। দীর্ঘদিন যাবত এই বন বিড়ালটি এলাকার লোকজনের নানান ক্ষতিসাধন করে আসছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা, আজবপুর, আলীপুর ও টিলাগাঁও গ্রামের বসতবাড়িতে থাকা কবুতর, হাঁস ও মুরগিসহ নানান জিনিসপত্র নিয়ে খেয়ে ফেলতো এই বন বিড়াল। গত কয়েক মাস যাবত চলছে এই হিংস্র বন বিড়ালের অত্যাচার। সে দিনরাত গাছের মাঝে থাকে। সহজে মাটিতে নামতে দেখা যেত না। কারণ এটি একটি নিশাচর প্রাণী। সারাদিন গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়ায় এবং চড়ুই ও ঘুঘু পাখিসহ বিভিন্ন পাখি শিকার করে। আর রাত গভীর হলে মানুষ যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখনই বসতবাড়িতে ডুকে গৃহপালিত হাঁস, মুরগি ও কবুতর খেয়ে ফেলে এই বন বিড়াল। অতি চালাক ও ভয়ংকর এই বন বিড়ালটিকে কোন ভাবেই ধরা যাচ্ছিল না। অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদের বাড়ির বাগানে স্টিলের খাঁচা দিয়ে তৈরি করা একটির ফাঁদের মাঝে মুরগি দিয়ে গতকাল ১৫ই জানুয়ারী শুক্রবার বন বিড়ালটি আটক করতে সক্ষম হয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বলেন- এই বন বিড়ালটির কারণে ৪টি গ্রামের পাখি শূন্য হয়ে পড়েছে। অনেক সাধনার পর এই প্রাণীটিকে ধরতে পেরেছি। বন বিভাগের কেউ নিতে আসেনি। তাই বন বিড়ালটিকে খাঁচায় আটক করে রাখা হয়েছে। ছেড়ে দিলে আবার অত্যাচার শুরু করবে।
এব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা বন কর্মকর্তা নিতিশ চক্রবর্তী সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমি জরুরী কাজে এলাকার বাহিরে আছি, ফিরে এসে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।