শিরোনাম: |
মানব সেবায় জিএমপি’র ট্রাফিক সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম
সুজন সারোয়ার, গাজীপুর
|
![]() জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে গত ১বছর ৭মাস যাবত সার্জন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি মৃত বোনের স্বপ্ন পুরণে ডাঃ হাছনা হেনা ফাউন্ডেশন নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিচালনা করছেন। যাদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য নেই, তাদের থাকা-খাওয়া, ঘর-বাড়ি, চিকিৎসা খরচ দিচ্ছেন। টাকার অভাবে যেসব মেয়েদের বিয়ে হচ্ছেনা তাদের নগদ অর্থ সহায়তা করে যাচ্ছেন। অর্থাভাবে যেন কারো লেখাপড়া বন্ধ না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত অর্থ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। প্রতি বছর হতদরিদ্র শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সাধারণ মানুষের আপদে-বিপদে সর্বক্ষণ তিনি পাশে দাঁড়ান, তার কাছে এসে আজও কেউ নিরাস হয়ে খালি হাতে ফিরে যাননি। বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবাদের দিচ্ছেন আর্থিক ও মানবিক সাহায্য। তাই তিনি সাধারণ মানুষের কাছে জনসেবক আদর্শবান মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এছাড়াও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, ওয়াজ মাহফিলে পর্যাপ্ত পরিমাণের অর্থ দান করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, সংঘ, খেলাধুলা, আচার-অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চাহিদামত অর্থ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মানবতার সেবক জাহাঙ্গীর আলম প্রয়াত বোনের নামে প্রতিষ্ঠিত ডাঃ হাছনা হেনা ফাউন্ডেশনে তার নিজস্ব অর্থায়নে দীর্ঘদিন অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহায়তা দিয়েছেন এবং বর্তমান সময়ে প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কারনে সমগ্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের অসহায় মানুষ যখন দিশেহারা তখন দেশের এ কঠিন সময়ে অসহায় কর্মহীন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে প্রথম ধাপে খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, তেল পিয়াজ, আলু লবনসহ নগদ অর্থ প্রদান করেন। এছাড়া সড়কে যাতায়েত কারী পথচারী, যাত্রী, ও চালকদের মাঝে পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিডাইজার বিতরণ করেন। প্রায় সময়ে সরোজমিনে দেখা যায়, অসহায় পথশিশু, বৃদ্ধাকে নিয়ে মহল্লার হোটেলে খাওয়া দাওয়া করছেন। বৃদ্ধ রিকশা, ভ্যান, সিএনজি চালকের গাড়ি ঢেলছেন, নিজ অর্থায়নে মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে গর্তের মধ্যে বালি ফেলছেন। মহাসড়কে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকা মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন, সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের দেখাশোনা করছেন। রাস্তায় হেটে যাওয়া অসহায়দের ডেকে এনে কাপড় কিনে দিচ্ছেন। |