প্রকাশ: রোববার, ১০ জানুয়ারি, ২০২১, ৮:১৮ পিএম |
উদ্বোধনের অপেক্ষায় বহুল প্রত্যাশিত খুলনা শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্স। একদিকে ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা দূর করার দাবি, অন্যদিকে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর একাডেমি ভবন ব্যবহারের জন্য অধির আগ্রহে রয়েছে এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ। উদ্বোধনের পরে অসম্পূর্ণ থাকা কাজ গুলো দ্রুত সমাধানের দাবি তাদের।
খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও সংস্কৃতি কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ও প্রাণের দাবি খুলনায় একটি নান্দনিক শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্স স্থাপনের। এ জন্য দীর্ঘদিন স্থানীয় বিভিন্ন সংষ্কৃতি কর্মীসহ খুলনাবাসি দাবি ও আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছিল। এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার খালিশপুরে জনসভায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির আধুনিক ভবন এবং অডিটোরিয়াম নির্মাণের ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সাংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করে। পরে সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নগরীর শেরেবাংলা রোডের পুরাতন নার্সিং ইনস্টিটিউটের জায়গায় ৮০ শতক জমিতে বিভাগীয় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ব্যয় ধরা হয় ২২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিসিটিএই ইলোরা জেভি এই প্রকল্পটির কাজ পায়। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নকশা পরিবর্তনসহ নানা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি কাজ। পরে প্রকল্প ব্যয় ৭ কোটি টাকা বাড়িয়ে মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
প্রকল্পটির মূল অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ গত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন হলেও নির্মাণে ছিল বেশ কিছু ত্রুটি ও অস্পূর্ণতা। ইতিমধ্যে নিরাপত্তা সিস্টেম, লাইটিং ও সাউন্ড সিস্টেমসহ কিছ ত্রুুটি সমাধানের দিকে অগ্রসর হলেও কিছু অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে এখনও। একদিকে ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা দূর করার দাবি, অন্যদিকে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর একাডেমি ভবন ব্যবহারের জন্য অধির আগ্রহে সংস্কৃতি কর্মীরা।
সংস্কৃতি কর্মীরা জানান, কমপ্লেক্সে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, লিফট ও আর্ট গ্যালারিতে শীতাতপ যন্ত্র নেই। এছাড়া নাটক করার জন্য যথার্থভাবে ইন্টেরিয়র ডিজাইন হয়নি। ত্রুটি রয়েছে আধুনিক লাইটিং ও সাউন্ড সিস্টেমেও । তাছাড়া সি সি ক্যামেরাসহ কমপ্লেক্স রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিতেরও দাবি তাদের।
উদ্বোধনের জন্য ৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়সহ মন্ত্রণালয়ে অফিসিয়াল চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেলেই উদ্বোধনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান জেলা কালচারাল কর্মকর্তা সুজিত সাহা। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সীমানা প্রাচীরে নতুন করে কাটা তার সংযোজনের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া আর্ট গ্যালারিতে শীতাতপ যন্ত্র স্থাপনসহ লাইটিং ও সাইন্ড সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে। তবে উন্নতমানের কিছু লাইটিং ও সাউন্ড সিস্টেম স্থাপনের চাহিদাপত্র, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও ২৩ জন জনবলের চাহিদাপত্র মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো হযেছে।