প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১:৫৮ PM
বিনোদন জগতের ব্লাক ডায়মন্ডখ্যাত সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে বিগত সরকারের আমলে পেশাগত কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। পরবর্তী সময়ে থিতু হন যুক্তরাষ্ট্রে। অবশেষে দীর্ঘ আট বছর পর রোববার (১০ নভেম্বর) দেশে ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরতে পেরে এই সংগীতশিল্পীর কাছে মনে হয়েছে সত্যিকারের স্বাধীনতা পেলেন। এমনটি জানিয়েছেন দেশীয় একটি গণমাধ্যমে।
এত দিন পর দেশে ফিরে কেমন লাগছে? এমন এক প্রশ্নে বেবী নাজনীন বলেন, সত্যি বলতে, তৃপ্তি পেয়েছি। ঢাকায় পা রাখার পর মনে হয়েছে, সত্যিকারের স্বাধীনতা পেলাম। একজন মানুষকে বিনা কারণে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন রেখে যখন দেশের বাইরে থাকতে হয়, তার চেয়ে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। দেশে ফেরার ইচ্ছা থাকলেও ফিরতে পারিনি এত দিন।
চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল বেবী নাজনীনের মা মারা যান। তখনো দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। এই বিষয়ে বলেন, এ বছরই আমার মা না-ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তার পরও দেশে ফিরতে পারিনি। সন্তান হিসেবে এর চেয়ে অসহায়ত্বের আর কী হতে পারে? এখন মনে হচ্ছে মুক্তি পেয়েছি। মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াতে পারছি। এই অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
রাজনীতির কারণে দীর্ঘদিন গান থেকে দূরে ছিলেন। গান মিস করেননি? এমন প্রশ্নে এই শিল্পী বলেন, বিদেশে আমি কিন্তু গানের সঙ্গেই ছিলাম। আমেরিকা, ইউরোপে বড় বড় কনসার্ট করেছি। সেখানে কেউ আমাকে গান করতে বাধা দেননি। তবে হ্যাঁ, দেশে থাকলে হয়তো নতুন অনেক গান করতে পারতাম, সেটা হয়নি। বাংলাদেশের শ্রোতারা বঞ্চিত হয়েছেন আমার গান থেকে। বিদেশে থেকে আমি দলীয় কার্যক্রমও পরিচালনা করেছি। বলতে গেলে, সব সময় কাজের মধ্যেই থাকতাম। যার কারণে গান অতটা মিস করিনি।
জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে ব্লাক ডায়মন্ডখ্যাত সংগীতশিল্পী বলেন, দল চাইলে অবশ্যই নির্বাচন করব। মানুষের সেবা করার মতো আনন্দ তো আর কিছুতে নেই। দলের যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য আমি প্রস্তুত।
স্বপ্নের বাংলাদেশকে বাস্তবে দেখতে চান বেবী নাজনীন। আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলি না, স্বপ্নের বাংলাদেশ! এবার সেই স্বপ্নের বাংলাদেশকে বাস্তবে দেখতে চাই। যে দেশে থাকবে না কোনো হানাহানি, থাকবে না হাহাকার। একে অন্যের ভালো-মন্দে পাশে থাকবে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা পাবে। সংবিধানের বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে প্রতিটি সেক্টরে। ঘরে ঘরে বেকার থাকবে না, থাকবে না কোনো বৈষম্য। এমন বাংলাদেশ দেখতে চাই। আমার বিশ্বাস, এই স্বপ্ন সত্যি হবেই।