রবিবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 
শিরোনাম: ‘দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশ-ভারতকে প্রভাবিত করছে’       বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মেটাকে ব্যবস্থা নিতে বললেন ড. ইউনূস       কী আছে ভারতীয় হাইকমিশনে দেওয়া বিএনপির স্মারকলিপিতে       বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বাশার আল-আসাদ!       হাসিনার দুর্নীতি তুলে ধরে ব্যাপক সংস্কারের আহ্বান তারেক রহমানের       চার দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন        প্রাথমিকে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ, থাকছে না পোষ্য কোটা      


সালথায় অফ সিজনে দেশী পাট বীজ সংগ্রহকরে লাভবান হলেন কৃষক মোক্তার হোসেন
সালথা ফরিদপুর থেকে
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৫২ PM

পাট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। প্রতিবছর এই উপজেলায় অন্তত ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়। এখানকার কৃষকরা ভারতীয় বিভিন্ন জাতের বীজ বপন করে পাট আবাদ করে থাকেন। তবে গত চার বছর ধরে সালথা উপজেলা সদরের কৃষক মুক্তার মোল্যা নিজের উৎপাদিত দেশীয় বীজ দিয়ে পাট আবাদ করে আসছেন। তার এই সাফল্যের ফল হিসেবে জেলার শ্রেষ্ঠ কৃষি উদ্যোক্তা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এরই ধারবাহিকতায় এবারো তিনি ৪০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছেন। শুক্রবার বার (৮ নভেম্বর) সকালে দেশীয় পাটের বীজ উৎপাদনের বিষয় নিয়ে কথা হয় কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ মুক্তার মোল্যার সঙ্গে। তিনি দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের এলাকার কৃষকরা ভারতীয় নানা জাতের বীজ দিয়ে পাট আবাদ করেন। তবে আমি গত চার বছর ধরে সবুজ সোনা-৯ নামে বীজ উৎপাদন করে আসছি। গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছিলাম। এতে আমার খরচ হয়েছিল ১০ হাজার টাকা। ওই জমি থেকে আমি অন্তত ২০০ কেজি বীজ পেয়েছিলাম।

তিনি বলেন, নিজের উৎপাদিত সেই বীজ দিয়ে গত বছর আমি ১৪ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলাম। ১৪ বিঘা জমিতে আমার ১৪ কেজি বীজ লেগেছিল। আমার উৎপাদিত একটা বীজও নষ্ট হয়নি। প্রতিটা বীজ থেকে পাট গাছের জন্ম হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। বাকি ১৮৬ কেজি বীজ বিক্রি করে ১৮ হাজার ৬০০ টাকা আয় করেছি। তাতে আমার নিজের ১৪ বিঘা জমির প্রয়োজন মিটিয়েও ৮ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিবিঘা জমিতে ২ কেজি করে ভারতীয় বীজ লাগে। আবার অনেক বীজ নষ্টও হয়ে যায়। কিন্তু আমার উৎপাদিত ১ কেজি বীজ দিয়ে এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করা যায়। বপন করার পর একটা বীজও নষ্ট হয় না। ফলনও ভারতীয় বীজের চেয়ে ভালো হয়। এবারও আমি ৪০ শতাংশ জমিতে পাটের বীজ আবাদ করেছি। ইতিমধ্যে পাটের গাছ থেকে ফুল আসতে শুরু করেছে। আশা করি, ওই ৪০ শতাংশ জমি থেকে এবারো ১৫০ থেকে ১৬০ কেজি বীজ পাবো। আমার মতো অন্য কৃষকরা যদি নিজে বীজ উৎপাদন করে পাটের আবাদ করেন, তাহলে তারা লাভবান হবেন বলে আমি মনে করি। সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন সিকদার একুশের  কণ্ঠকে বলেন, পাট গবেষণা থেকে বীজ এনে কৃষক মুক্তার মোল্যা পাটের বীজ উৎপাদন করছেন। সালথায় ইতিমধ্যে এই বীজের জনপ্রিয়তা অনেকটা বেড়েছে। যদিও ভারতীয় বীজের চেয়ে দেশীয় এই বীজের চাহিদা কম। তবে কৃষকরা যদি নিজেরা বীজ উৎপাদন করে, তাহলে তাদের খরচ কম হবে। আবার ফলনও ভালো পাবে। মুক্তার মোল্যার মতো অন্য কৃষকরা যদি পাটের বীজ উৎপাদনে এগিয়ে আসেন, তাহলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।







আরও খবর


 সর্বশেষ সংবাদ

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ৬১ কোটি ডলার
৪০ বছর বয়সেও পায়েল যে কারণে অবিবাহিত
ভারতকে কাঁদিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শিরোপা উল্লাস
‘দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশ-ভারতকে প্রভাবিত করছে’
বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মেটাকে ব্যবস্থা নিতে বললেন ড. ইউনূস
আরো খবর ⇒


 সর্বাধিক পঠিত

2nd Edition of UNHCR x DIMFF Presents Mobile Filmmaking Workshop: Forced to Flee
সালথায় হত্যাচেষ্টা ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে ডাকাতি নামে সাজানো নাটক
গাজীপুরে জামায়াতে ইসলামীর সূধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত
‘‘ইসকন’’ নিষিদ্ধের দাবিতে কালীগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ
বিগবসে যাচ্ছেন পরীমনি?
প্রকাশক: এম এন এইচ বুলু
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহফুজুর রহমান রিমন  |   উপদেষ্টা সম্পাদক : রাজু আলীম  
বিএনএস সংবাদ প্রতিদিন লি. এর পক্ষে প্রকাশক এম এন এইচ বুলু কর্তৃক ৪০ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বুলু ওশেন টাওয়ার, (১০তলা), বনানী, ঢাকা ১২১৩ থেকে প্রকাশিত ও শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ফোন:০২৯৮২০০১৯-২০ ফ্যাক্স: ০২-৯৮২০০১৬ ই-মেইল: spnewsdesh@gmail.com