আন্তর্জাতিক খাদ্য দিবস উপলক্ষে রন্ধন শিল্পীদের নিয়ে জঁমকালো পরিবেশে এক মিলন মেলার আয়োজন করেছে রংধনু একাডেমি পরিবার। বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে (১৩) অক্টোবর রবিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় রংধনু একাডেমির হল রুমে দেশের খ্যাতিনামা সব রন্ধন শিল্পীদের উপস্থিতিতে রান্না প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রংধনু একাডেমির রন্ধন বিশেষজ্ঞ ও মেলা কমিটির সদস্য হাসিনা আনছার ,আফলাতুন আক্তার,তাসলিমা হক,সানজিদা হক সুষমা,কানিজ ফেরদৌসীর পরিকল্পনায় ও চেয়ারম্যান আলমগীর আহমেদ এবং সিও'র সুলতানা পপির সার্বিক দিকনির্দেশনায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রংধনু একাডেমির এ রান্না প্রতিযোগীতায় ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত প্রায় ২৪ জন রন্ধন শিল্পী প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। দেশি,বিদেশি,চায়নিজ আইটেম এর বিভিন্ন রান্না করা খাবার বিচারকদের নিকট উপস্থাপন করে প্রতিযোগিরা।
উক্ত রন্ধন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহিন আফরোজ সাবেক জিএম বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প কর্পোরেশন,লবি রহমান রন্ধন বিশেষজ্ঞ সেফ আনোয়ার হোসেন,বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট উম্মে সালমা সুমি,রংধনু একাডেমির চেয়ারম্যান আলমগীর আহমেদ এবং সিও সুলতানা পপি। বাংলা খাবার রান্না করে প্রথম স্থান অর্জনকারীসহ ৩০ জন প্রতিযোগিকেই রন্ধন বিশেষজ্ঞ হাসিনা আনছারের পক্ষ থেকে তার সম্পাদিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপির ৩০ টি বই ও রংধনু একাডেমির পক্ষ থেকে উপহার পুরস্কৃত করা হয়।
প্রতিবছর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ( FAO) সদস্য দেশগুলোতে এই দিবসটি পালিত হয়।এর উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তোলে।বিশ্ব খাদ্য দিবস প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতিষ্ঠার স্মরণে এই দিনটি পালিত হয়। খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা, যেমন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল, এই দিনটি ব্যাপকভাবে উদযাপন করে। ২০২০ সালে খাদ্য সংকট মোকাবেলা, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা এবং যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসাবে খাদ্যের ব্যবহার বন্ধ করতে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
রংধনু একাডেমির চেয়ারম্যান আলমগীর আহমেদ বলেন,আমাদের রংধনু একাডেমি দীর্ঘদিন ধরে সু-নামের সাথে দেশের রন্ধন শিল্পীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটাই,আমাদের দেশের রন্ধন শিল্পী বা সেফরা যাতে আন্তর্জাতিক ভাবে কাজ করতে পারে এবং সকলের নিকট গ্রহণ যোগ্যতা পায়।আমরা অনেকটা সফলও বটে বলতে পারি চোখ বন্ধ করে।সারা বিশ্বে বাংলাদেশী রন্ধন শিল্পী বা সেফদের চাহিদা অনেক।আন্তর্জাতিক মানের রেস্টুরেন্টে/ রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশের সেফরা একটা বড় অংশ দখল করে রেখেছে তাদের কর্মদক্ষতায়।আমরা বিভিন্ন সময় রংধনু একাডেমির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের রন্ধন বিশেষজ্ঞ সেফদের মাধ্যমে রান্না শেখানোর প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকি।আমরা শুধু প্রশিক্ষণ নয়,দেশে, বিদেশে তাদের চাকরি পেতে সহায়তা করে থাকি।
রংধনু একাডেমির সিও সুলতানা পপি তার বক্তব্যে বলেন,রংধনু একাডেমি শুধু নামেই নয় বরং কাজেই সব সময় পরিচিত হতে পছন্দ করে।রংধনু একাডেমির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করা রন্ধন শিল্পীরা এখন রন্ধন বিশেষজ্ঞ হয়ে নানা সভা সেমিনার করে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে।আমাদের রংধনু একাডেমির পরিবার থেকে দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনে নানা সময় বিভিন্ন রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান করে থাকি।আর টিভি,এন টিভি,একুশে টিভি,এটিএন বাংলা, বাংলা টিভি,এস এ টিভি সহ আরো একাধিক টেলিভিশনে রংধনু একাডেমির আয়োজনে রান্না বিষয় অনুষ্ঠান করে থাকি। এ সকল অনুষ্ঠান গুলো রংধনু একাডেমি দেশের সনামধন্য রান্না বিশেষজ্ঞ সেফদের মাধ্যমে করে থাকে।রংধনু পরিবার তাদের কর্মের মাধ্যমে সকলের হৃদয়ে সারা জীবন বেঁচে থাকতে চায়।পুরস্কার বিতরণ শেষে আনন্দমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।