প্রকাশ: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:২২ PM
শেরপুরে বিষ প্রয়োগে মুরগী হত্যার প্রতিবাদ করায় দা দিয়ে কুপিয়ে মা ও ছেলেকে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতরা বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামে। আহতরা হলো,ওই গ্রামের মো. আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম(৩৫) ও তার মাতা মোছা. আকলিমা বেগম(৫৫)। এই ঘটনায় মো. আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে স্বনামে ৫জনকে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এলাকাবাসী ও বাদীর দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ঘোনাপাড়া গ্রামে আব্দুল কুদ্দুছ ও
নজরুল ইসলাম নজি আপন সহোদর ভাই ও প্রতিবেশী। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এরি জেরে শুক্রবার সকালে ভাতের সাথে বিষ দিয়ে আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে আমিনুল ইসলামের একটি মুরগী মেরে ফেলে। ইতিপূর্বেও তার কয়েকটি মুরগী একই কায়দায় মেরে ফেলে। ফলশ্রুতিতে শুক্রবার দুপুরে আমিনুল ইসলাম তার মৃত মুরগীটি নিয়ে নজরুল ইসলাম নজি ও তার পরিবারকে দেখাতে গেলে নজির পরিবার চড়াও হয় আমিনুলের উপর। সেই সাথে আমিনুলকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। অবস্থার বেগতিক দেখে আমিনুল ইসলাম তার বাড়ীতে চলে আসে। এর কিছুক্ষণ পরে নজরুল ইসলাম নজি ও তার পরিবারের লোকজন দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমিনুলের বাড়ীতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে অতির্কিত ভাবে হামলা চালায় আব্দুল কুদ্দুছের পরিবারের ওপর। এতে আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে আমিনুল ইসলাম ও তার মাতা আকলিমা বেগম দায়ের কুপে ও লাঠির আঘাতে মারাক্তক ভাবে আহত হয়। এসময় প্রতিবেশীরা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানা গেছে।
পরে শুক্রবার রাতেই আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে নজরুল ইসলাম নজি গংদের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে অভিযোগের বাদী আব্দুল কুদ্দুছ জানান, নজরুল ইসলাম নজি আমার সহোদর ভাই হলেও দীর্ঘদিন থেকে আমার ও আমার পরিবারের নানাবিধ ক্ষতি সাধন করে আসছে। আজ আমার ছেলে ও স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশে দা দিয়ে কুপিয়ে মারাক্তক ভাবে আহত করেছে। আমার ছেলের অবস্থা আশংকাজনক। তাই আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এদিকে অভিযোগের বিবাদী নজরুল ইসলাম নজির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাহার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এসআই আনিছুর রহমানকে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক আইনত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এলকাবাসী বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরুল ইসলাম নজি গংদের এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরণের প্রাণহানির আশংকা রয়েছে।