প্রকাশ: শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:৫৫ PM
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদী মিছিলে বাঁধা ও হামলায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক আকলু (৬০) খুন হন। এ সময় জহিরুল ইসলাম, মজনু শেখ, বিল্লাল হোসেন, তাজুল ইসলাম,শামসুল শেখ, নুরুল ইসলামসহ আরো ১০-১২জন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের নেতা কর্মীরা। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।খবর পেয়ে পুলিশ আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহত ওই বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন মুক্তারপুর ইউনিয়নের নাসু মার্কেট এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদী মিছিল ও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় পূর্ব থেকে উৎপাতে থাকা পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া উপজেলাধীন দুর্গাপুর ইউনিয়নের খিলগাঁও এলাকার কতিপয় সুযোগ সন্ধানী দলের নামধারী বখাটে সন্ত্রাসী নাজুক মিয়া, মোরশেদ, আজিজুল ওরুফে উরু, আরিফুল, সিয়াম মারুফ, মনির হোসেন ও সোহেল সহ ৬০-৭০ জন মিছিলে বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষে বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে বাধা প্রদানকারীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া করলে তার দৌড়ে নাসু মার্কেট চলে যায়। পরে সেখানে গিয়ে ওই সন্ত্রাসীরা হামলার তান্ডব চালায়। এ সময় হামলাকারীদের বেধড়ক লাঠির আঘাতে এমদাদুল হক আকলু নামের এক বিএনপি নেতা ঘটনাস্থলে নিহত হন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ সময় আরো ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।
নিহত এমদাদুল হক আকলু গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মুক্তারপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি। তিনি মুক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল ও থানায় ছুটে যান।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কালীগঞ্জ সার্কেল মো: আসাদুজ্জামান বলেন, নাসু মার্কেট এলাকায় একটি মিছিল করাকে কেন্দ্র করে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।