প্রকাশ: বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪, ৮:১৮ PM
গাজীপুর শ্রীপুরের মাওনা চকপাড়া গ্রামে অবস্থিত নাইস স্পান মিল সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা মোড়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় বসত বাড়ি,দোকান পার্ট ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে চকপাড়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা তাইজুদ্দিনের ছেলে আব্দুল জাব্বার দেনা পাওনার জেরে মেসার্স কাউছার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসের আসবাবপত্র বাহির বের করে রাস্তায় রাখে। পরে তার বড় ভাই মোঃজসিম উদ্দিন এসে নিষেধ করলে সেগুলো রেখে চলে যায়। এবিষয়ে আব্দুল জাব্বার বলেন,"আমি অফিস থেকে আসবাবপত্র বের করেছি সত্য। পরে আমার বড় ভাই নিষেধ করলে আমি চলে আসি।আমি কোন আসবাবপত্র ভাংচুর বা আগুন দেই নাই"। ভাংচুরের বিষয়ে অভিযুক্তের বড় ভাই মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন,"আমি রাস্তায় আসবাবপত্র বের করতে দেখে ছোট ভাইকে নিষেধ করি ছোট ভাই চলে যায়। পরে আমি হযরত নামের একজনকে রেখে নামাজ পড়তে যাই।এসে দেখি আসবাবপত্র ভাঙ্গা এবং আগুন দেয়া পড়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হই।কে বা কাহারা আগুন দিয়েছে আমি দেখি নাই।"
এই ঘটনার জেরে গতকাল সন্ধ্যার পরে আব্দুল জাব্বারের বসতবাড়ি ও দোকানে হামলা এবং ভাংচুর চালায় প্রতিপক্ষ।
বসতবাড়িতে হামলা ও দোকানপার্ট ভাংচুরের বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল জাব্বারের স্ত্রী হালিমা খাতুন লিমা বলেন,
"আমাদের বসতবাড়ি এবং দোকানে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে।যখন তারা হামলা চালায় তখন আমাদের বাড়িতে পুরুষ কেউ ছিলোনা। শুধু আমরা মহিলারা ছিলাম। তিনি আরও বলেন আমাদের বাড়ি এবং দোকানে হামলাকারীদের মধ্যে দুইজনকে চিনতে পারি। তাদের মধ্যে একজনের নাম মোঃ সামিউর রশিদ আহাদ।তার পিতার নাম মোঃআবু বক্কর।সে প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় জেল হাজত থেকে আজকে বিকেলে মুক্তিপেয়ে এসেই আমাদের বাড়িতে এবং দোকানে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে।আরেকজনের নাম মোঃ রনি। আরও পাঁচ থেকে সাতজনের মত ছিলো তাদের চিনতে পারিনি।কারন তারা হেলমেট পরিহিত ছিলো।
বসতবাড়ি এবং দোকানে হামলা ও ভাংচুরের বিষয়ে আব্দুল জাব্বার বলেন,"
আমার জমি বিক্রি করা ২৭৮৪১০০/টাকা ২০১৮ সালে জালিয়াতি করে নিয়ে গেছে।এই টাকা আমি এখনো পাইনি।মূলত এই টাকার জন্যে সব সমস্যা। ঘটনার বিষয়ে মোঃসামিউর রশিদ আহাদ বলেন,"অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুরের সময় আমার বাবা বাঁধা দিলে তাকে অপমান করে। আপনিই বলেন,কোন সন্তান তার পিতার অপমান সহ্য করতে পারে। তাই আমি ভাংচুর করেছি।