প্রকাশ: বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪, ৫:০৩ PM
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সরকারের প্রধান হচ্ছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইতোমধ্যে তাকে প্রধান করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ড. ইউনূস দেশের বাইরে আছেন। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে দেশে ফিরবেন। এর আগে আজ বুধবার রাতের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা।
বুধবার (৭ আগস্ট) ইউনূস সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে দেশে ফিরবেন ড. ইউনূস। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুপুরে তার ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সূত্র জানায়, অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেই কারণে তার ফিরতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চূড়ান্ত রূপরেখা আজ রাতের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, আজ বুধবার রাতের মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চূড়ান্ত রূপরেখা ঘোষণা করা হবে। এর আগে গতকাল রাষ্ট্রপতির সাথে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তিন বাহিনী প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তাদের প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক পর্যায়ে এক দফায় রূপ নেয় এবং গত সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন। অন্তর্বতীকালীর সরকার গঠনের উদাহরণ বাংলাদেশে আগেও রয়েছে। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছিল। ২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছিল। এবারও তেমনি একটি সরকার হবে, যারা দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ কায়েম করে জাতীয় নির্বাচন দেবে। সেনাবাহিনী এই সরকারকে পেছন থেকে সহায়তা যোগাবে।