প্রকাশ: শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ৬:৩২ PM
বগুড়ায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, সাউণ্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় সাতমাথা এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা বগুড়া জিলা স্কুলের ভেতর আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় পুলিশ দেয়াল টপকিয়ে আলতাফুন্নেচ্ছা খেলার মাঠ হয়ে নিরাপদে আশ্রয় নেন।
শনিবার বেলা ৩টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা সাতমাথায় সমবেত হতে থাকে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সরকারি আজিজুল হক কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,আইনজীবি ও অভিভাবকরাও এই বিক্ষোভে অংশ নেন। এসময় তারা সরকারের পদত্যাগসহ নিহতদের হত্যার বিচার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভ চলাকালে পুরো সাতমাথা এলাকায় অবস্থান নেওয়ায় শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বেলা ৪টার দিকে সাতমাথা চত্বর থেকে বিক্ষোভকারিদের একাংশ মিছিল নিয়ে নবাববাড়ি অভিমুখে রওনা দেয়। এসময় জিলা স্কুলের ফটকের সামনে অবস্থানরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনির সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় সেখনকার পুলিশ সদস্যরা জিলা স্কুলের ভেতরে ঢুকে পড়েন। মিছিলটি জিলা স্কুল অতিক্রম করে পুলিশ প্লাজার সামনে গিয়ে পুলিশের সাঁজোয়া যান(এপিসি) ও পুলিশ প্লাজা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ এসময় কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়লে শিক্ষার্থীরা সাতমাথায় ফিরে যায়।
পরে শহরের জলেশ্বরীতলা, সাতমাথা ও টেম্পল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা জিলা স্কুলে আটকা পড়েছি। তাই এই মুহুর্তে বাইরে কি হচ্ছে আমরা বলতে পারছি না।’ বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার জানান, শিক্ষার্থীরা হঠাৎ করে বিনা উস্কানিতে পুলিশ প্লাজার সামনে সাঁজায়ো যানে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে এবং হামলা চালায়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।