প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪, ৬:১০ PM
মুক্তির পরপরই বিশ্বজুড়ে বক্স অফিস মাত করা হলিউডের সিনেমা ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’ আসছে বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে। ২ আগস্ট বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। খবরটি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। গত ২৬ জুলাই আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পায় ‘ডেডপুল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় এই কিস্তি। মুক্তির শুরুতেই বক্স অফিসে ঝড় উঠে যায়। প্রথম দিন বিশ্বব্যাপী ৬ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৬০ কোটি ২৫ লাখ টাকা) আয় দিয়ে শুরু করা সিনেমাটি প্রথম সপ্তাহান্তে বিশ্বব্যাপী ৪৩৮ মিলিয়ন ডলার আয় তুলে নিয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৫১০০ কোটির ওপরে। অর্থাৎ এরই মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের মাইলফলক ছুঁয়েছে এটি।
এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালের সবচেয়ে বেশি উদ্বোধনী আয় করা হলিউড চলচ্চিত্র হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবি। এছাড়াও হলিউড ষষ্ঠ বৃহত্তম উদ্বোধনী আয়ের রেকর্ডও গড়েছে। আর রেটেড সিনেমা হিসেবে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী আয় করা চলচ্চিত্র হয়ে উঠেছে ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’।
এদিকে ভারতীয় বক্স অফিসেও বেশ দাপটের সঙ্গে চলছে সিনেমাটি। কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’ প্রথম চার দিনেই ৭২ কোটি রুপি বেশি আয় করে নিয়েছে। ভারতে ১০০ কোটির ক্লাবে খুব দ্রুত প্রবেশ করবে এটি। বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, এ বছর সবচেয়ে বেশি আয় করা হলিউড সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নেবে ছবিটি। মুক্তির সঙ্গে পাঁচ দিনের লম্বা ওপেনিং উইকেন্ড পেয়েছে সিনেমাটি। সঙ্গে মিলছে দর্শক-সমালোচকের ভূয়সী প্রশংসাও। সুতরাং আয়ে বড়সড় চমক দেখাতে চলেছে সিনেমাটি তা বলাই বাহুল্য।
শন লেভির পরিচালনায় ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’ মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের ৩৪তম এবং ‘ডেডপুল’ সিরিজের তৃতীয় চলচ্চিত্র। এতে অভিনয় করেছেন রায়ান রেনল্ডস, হিউ জ্যাকম্যান, রেট রিজ, পল ওয়ের্নিক প্রমুখ। ছবির অন্যতম আকর্ষণ হিউ জ্যাকম্যান ও রায়ান রেনল্ডসের জুটি। এই জুটির পারফরম্যান্স প্রশংসিত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। অবশ্য এটিই ছিল সিনেমার মূল আগ্রহের জায়গা। কেননা রায়ান রেনল্ডস অনেক আগেই ডেডপুল হিসেবে অপ্রতিরোধ্য। অন্যদিকে উলভারিন হিসেবে হিউ জ্যাকম্যানের কোনও তুলনা নেই। সিনেমা সংশ্লিষ্ট অনেকেই ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’র প্রশংসা করেছেন। ডেভিড থম্পসন বলেছেন, ‘এ দুই চরিত্র মার্ভেলের সবচেয়ে মজার ও স্বতন্ত্র। ফলে রায়ান রেনল্ডস ও হিউ জ্যাকম্যানের মতো দুই অভিনেতা চরিত্র দুটোকে আরও মজার করে উপস্থাপন করেছেন। কেবল মজার নয়, দর্শক তাদের যেমন দেখতে চান, এরা তেমন করেই উপস্থাপন করেছেন নিজেদের। রায়ান ও হিউ দুজনই অসাধারণ কাজ করেছেন।’
এছাড়া সিনেমার ক্যামিওগুলো নিয়েও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অনেকে। বেশকিছু ক্যামিও আছে সিনেমাটিতে। এর মধ্যে পাইরোর ক্যামিও নিয়েই কথা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এরিক ডেভিস তার এক্সে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, স্বীকার করতেই হবে, ক্যামিও ও অন্য সারপ্রাইজগুলো ছিল দারুণ। প্রতিটি ক্যামিওই গল্পের সঙ্গে মিলে গেছে। এছাড়া রক্তাক্ত যুদ্ধ ও চরিত্রদের হিউমারও দর্শককে আনন্দ দেবে। কিন্তু চরিত্র দুটো সব ছাড়িয়ে গেছে। দুটি চরিত্রই আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে।’
ডেডপুল মূলত মার্ভেলের সবচেয়ে দুরন্ত চরিত্র। এতে রায়ান রেনল্ডস অভিনয় করেছেন আরও দুবার। এবার তার সঙ্গে হিউ জ্যাকম্যান যুক্ত হয়ে আরও নতুন দর্শকের মন জয় করবেন, সেটা নির্মাতারা শুরু থেকেই জানতেন। সেই কারণেই যুক্ত করেছিলেন জ্যাকম্যানকে। শন লেভির পরিচালনাও প্রশংসা পাচ্ছে। সিনেমাটিকে তিনি যেভাবে ডিজাইন করেছেন, সে কারণেই এটি প্রশংসা পাচ্ছে। দুটো চরিত্রকে পাশাপাশি উপস্থাপন করা সহজ ছিল না। সেখানেই সফল এ পরিচালক।