প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪, ২:১০ PM
কিছুক্ষণের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক৷
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর কক্ষের সামনে সাংবাদিকদের এক জবাবে এ কথা বলেন তিনি ৷ জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সই করেছেন আইনমন্ত্রী, কিছুক্ষণ পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। দলটির ছাত্রসংগঠনের নাম ইসলামী ছাত্রশিবির। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায়ও কার্যকর করা হয়েছে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করার জন্য একটি আইনের খসড়া কয়েক বছর আগে তৈরি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। পরে সে বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। এসব হামলার পেছনে জামায়াত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে দাবি করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠকে বসে ১৪ দল। সেখানে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট। সেদিন বৈঠকের শুরুতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে যে নাশকতা, আগুন দেওয়ার ঘটনা ও পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়েছে, এর পেছনে জামায়াত-শিবির রয়েছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন আছে। এক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত লোকজনকে ঢাকায় জড়ো করা হয়। তারাই এসব অপকর্ম করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হলে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এরপর শরিক দলের নেতারা একে একে বক্তৃতা করেন।