প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪, ৫:২০ PM আপডেট: ১৬.০৭.২০২৪ ৬:৩৩ PM
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা সোয়া তিনটার দিকে নগরীর মুরাদপুরে এই ঘটনা ঘটে।
তিনজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন। তাদের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় আরও সাতজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান পরিচালক।
নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম এবং ওয়ার্কশপ কর্মচারী ফারুক। ওয়াসিমের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় আর ফারুকের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। বাকি একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৩টা থেকে নগরীর মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট এবং ষোলশহরসহ আশেপাশের এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে দুপুর থেকে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থা নেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দুই নম্বর গেট এলাকায় একটি বাস ভাঙচুর করে তারা। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে। কোটা আন্দোলনকারীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। এর আগে দুপুরে রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন গতকাল সোমবার (১৫ জুলাই) সহিংস রূপ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে তিন শতাধিক আহত হন। আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সারাদেশে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।