ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বমোট ২৭ দেশের মধ্য কাতালোনীয়ার বানিজ্যিক রাজধানী বার্সেলোনায় জাতীর মহা নায়ক,জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর জীবন ভিত্তিক মুভি মুজিব দা ম্যকিং অব ন্যাশন সর্ব প্রথম প্রদর্শিত হয়, বার্সেলোনা সেন্টার এর কায়ে জিরোনার ১৭৫ নাম্বার হলরুমে ৩১ মে সন্ধা ৫.৪৫ মিঃ এর সময় বঙ্গবন্ধুর দেশ প্রেম সহ জীবন ভিত্তিক মুভিটি প্রদর্শিত হয়।বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীগ যুবলীগ সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কাতালোনীয়ায় বসবাস কারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক সমাজকর্মী সহ বার্সেলোনায় বসবাসরত সাধারন মানুষদের উপচে পড়া দর্শক উপস্হিতিতে মুভি হলরুম এ প্রদর্শিত হয়।
হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাংঙ্গালী,জাতীর মহা নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের চরিত্রটি পরিচালক শ্যাম বেনেগাল মুভিতে সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন,১৭ই মার্চ ১৯২০ইং টুঙ্গি পাড়াই সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া ছোট্ট “খোকা” শেখ লুৎফর রহমান ও মোছাম্মৎ সাহারা খাতুনের তৃতীয় সন্তান।শৈশবের গন্ডি পেরিয়ে ছোট্র খোকা থেকে ক্রমান্বয়ে বেড়ে ওঠা শেখ মুজিবর রহমান আপাদমস্তক একজন পরোপকারী,সমাজ সেবক,দেশ প্রেমিক ধারাবাহিকতায় বাংলার জনগনের বঙ্গবন্ধু, কন্টক ময় বন্ধুর পথ অতিক্রম করে জেলজুলুম সহ অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর এই মহান নেতার হাত ধরে বাংলার স্বাধীনতা তথা পাকিস্তানি স্বৈরশাসন থেকে প্রানের বিজয়।মৃত্যুর দূয়ার থেকে বার বার ফিরে আসা এই মহান মানুষটি সেদিন উচ্ছ বিলাসি ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পায়নি।মোস্তাক জিয়া শাহীগংদের ষড়যন্ত্রে সেদিন ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ইং শিশু রাসেল সহ দানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাসভবনে স্বপরিবার এ বাঙ্গালী জনগনের এই প্রানপ্রিয় অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান শহীদ হন।ভাগ্যক্রমে বেচে যান সেই দিনের আদুরে হাসু আজকের প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা।

পরিচালক শ্যাম বেনেগাল মুজিব মুভিতে খোকার ভালো লাগা রেনুকে আঁড় চোখে তাকানো তথা প্রেম, বাবা লুৎফর রহমান ও মা এর প্রতি ভালোবাসা,স্কুল জীবনে দাবী নিয়ে সরওয়ার্দির মন জয় করা, মওলানা ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ,সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কার্জন হলে জিন্নার ফ্যাসিজম বক্তব্যের প্রতিবাদে হলের বাহিরে জোরালো প্রতিবাদ, গ্রেফতার, পরে সবাইকে মুক্তি দিলেও অন্ধকার সেলে
অনশনে নির্যাতন সহ জীবন মৃত্যুর সন্ধক্ষনে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি।পারিবারিক বাধা সহ জেল জুলুম নির্যাতন এই মানুষটিকে বাংঙ্গালীর অধীকার আদায়ে পিছপা হতে দেখিনি।ভোটের প্রচারে গরীব বুড়িমার দেয়া দুধ ও পান খাওয়া তদুপরী ৪ আনা পয়সা সহ মানুষের ভালোবাসা বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানী দুঃশাসন থেকে বাঙ্গালীকে মুক্ত করার সাহস যোগিয়েছে। উৎপেতে থাকা ইন্টার ন্যাশনালষড়যন্ত্র, মোস্তাক শাহীদের আঁতাতের ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দ্রাগান্ধীর ইনফরমেশ স্বত্ত্বেও বিশ্বাস করতে পারেনি কোন বাংঙ্গালী তার বুকে গুলি ছালাতে পারে। এ সময় দর্শক সারীতে বসে জীবন ভিত্তিক মুভি উপভোগ করেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সরওয়ার মাহমুদ এনডিসি,বার্সেলোনায় বাংলাদেশের অনারারী কাউন্সিলর সিনিয়র রামন পেদ্রো,বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ এর মিনিস্টেরিও পলিটিক্যাল ইমদাদুল হক,প্রশাসনিক কর্মকর্তা রেজা শাহ পাহলভী, সাথে ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন হক নেছা, শফিকুর রহমান উত্তম কুমার,শফিকুর ইসলাম স্বপন ,খুরশিদ আলম বাদল,জাহাঙ্গীর আলম, মোশারফ বেপারী, খালেদুর রহমান,শাহ আলম স্বাধীন,মোখলেছুর রহমান নাছিম,এ কে আজাদ মোস্তফা সহ রাজনৈতীক,সামাজিক,ও সাংবাদিক ব্যক্তিবর্গ। রাষ্টদূত মোহাম্মদ সরওয়ার মাহমুদ বলেন বঙ্গবন্ধু বাংঙ্গালী জাতীর পিতা, সেদিন তিনি কোন একক গুষ্ঠির নেতা ছিলেন না তার তর্জনী বলে দিয়ে ছিলেন তিনি সমগ্র বাংঙ্গালী জাতীর নেতা ১৫ই আগষ্ট প্রমান করে শুধু বাংঙ্গালী জাতীর নয় বিশ্ববাসীর মহান নেতা।রাজনৈতীক দূরদর্শিতা জনগনের প্রতি ভালবাসা আত্মত্যাগ সহ সমস্ত গুনের অধিকারী এই নেতার সমস্ত ইতিহাস সবার জানা প্রয়োজন তাই আমাদের প্রচেষ্টা।