প্রকাশ: রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৭:৪৪ PM
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৮২২ জন। রোববার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে। গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৬ হাজার ৪৫১ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন সাত হাজার। নিখোঁজরা সবাই মারা গেছেন এবং ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২৮৬ জন আহত হয়েছেন। তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বোমা হামলায় সামগ্রিকভাবে গাজার জনসংখ্যার প্রায় চার শতাংশ নিহত, আহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। এ ভয়াবহ হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। সেখানে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এখন বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছে।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করছে না।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : আল-জাজিরা