প্রকাশ: রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২:০২ PM
হলফনামায় সরকারি চাকরির তথ্য গোপন করায় চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাকে জরিমানার এক লাখ টাকা সুপ্রিম কোর্টের চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। একই সময় তথ্য গোপন করে আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তদন্ত করে সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্যের ডিজিকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত বলেন, মো. সালাউদ্দিন সাংঘাতিক প্রতারণা করেছে। এ সময় আদালতে ইসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সরকারি কর্মচারী হিসেবে চাকরিতে থাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম নগরের আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জানা যায়, স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরিতে যোগ দেয়ার আগে পুলিশ সদস্য ছিলেন মো. সালাউদ্দিন। ২০১০ সালে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। এরপর ২০১১ সালে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। চাকরি থেকে অব্যাহতি না নিয়েই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্রে তিনি নিজেকে ফার্মেসি ব্যবসায়ী উল্লেখ করে কাগজপত্র দাখিল করলেও পুলিশের চাকরি থেকে অবসর নেয়া এবং স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত থাকার কথা আড়াল করেন।
তবে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইকালে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংগ্রহে ত্রুটির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। সেখানেও প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এরপর উচ্চ আদালতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান সালাউদ্দিন। সবশেষ আজ সালাউদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল করে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন চেম্বার আদালত।