প্রকাশ: শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৯:৪৫ PM
প্রতিবেশী বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ভারত। এবারও দ্বাদশ নির্বাচনে নিজেদের অবস্থানের কথা আবারও পরিষ্কার করেছে দেশটি। বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে ভারত আবারও সুস্পষ্ট করে বলেছে, বাংলাদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের ভোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘নির্বাচন বাংলাদেশের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং আমরা বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের জনগণই তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’ নয়া দিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে বাগচি বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে ভারত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় এবং একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশের স্বপ্নকে সমর্থন করে যাবে।
ভারত সরাসরি ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছে এবং আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে’ বলে বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক অভিযোগের উল্লেখ করে মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। বলেন, ‘আমরা তৃতীয় কোনো দেশের নীতির বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’ বাংলাদেশে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাসের ভারতে সাম্প্রতিক বহুল আলোচিত সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে বাগচি বলেন, তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ভারত সফর নিয়ে মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি ব্যক্তিগত সফর হতে পারে। কিন্তু আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। তাই, আমার কাছে এই মুহূর্তে বলার কিছু নেই।’
এর আগে গত নভেম্বরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের ‘টু-প্লাস-টু’ বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তখন ভারতের বিদেশ সচিব ভিনয় কোয়াত্রা বলেছিলেন, একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে সে দেশের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়, সেই ‘ভিশন’কে ভারত কঠোরভাবে সমর্থন করে। তিনি এটাও বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সে দেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’