প্রকাশ: বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:৪৪ PM
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ইতালিতে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপন করা হয়েছে। খ্রিস্টানদের সূতিকাগার দেশ হিসেবে পরিচিত ইতালি, বড় দিন উপলক্ষে দেশটির ছোট-বড় প্রতিটি শহর, ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি সাজানো হয় বর্ণিল সাজে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ইতালির রাজধানী রোম, মিলান, ভেনিস খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান ভ্যাটিক্যান সিটিতে আলোকসজ্জাসহ নানা আয়োজন করা হয়। ইতালির রোম, মিলান, ভেনিস, নাপোলী সহ অন্যান্য শহরের প্রতিটি গির্জায় গির্জায় প্রার্থনায় মঙ্গল কামনা করা হয়। ভ্যাটিক্যান প্রাঙ্গণে ক্রিসমাসের বড় আয়োজন ছিল সেইন্ট পিটার্স ব্যসিলিকায়। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রার্থনা শুরু করেন খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস। এর আগে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপের ধর্মীয় আয়োজনে যোগ দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। যুদ্ধ শেষ ও বিশ্ব শান্তি কামনা করেন পোপ।
ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরাও বড়দিন উদযাপন করেছে। এই উপলক্ষে দেশটির বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় বড়দিনের ছোট বড় উৎসব। আয়োজনে ছোট ছোট শিশু ও কিশোরীদের নিয়ে কেক কাটা হয়। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজনে যিশু খ্রিস্টের আরাধনায় কীর্তন ও ভোজন পরিবেশন করা হয়।
বিশ্বময় বড়দিনের উৎসব ছড়িয়ে দিতে ইতালীয়দের অবদান অনস্বীকার্য। বড়দিনের আলোক সজ্জার মতো শান্তির পরশ ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়, এমনটাই প্রত্যাশা ইতালীয় যীশু প্রেমিক খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের। ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।